1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
জলাবদ্ধতার কারণে উল্লাপাড়ার নাগরৌহায় ২শ ৫০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ নিয়ে সংকিত কৃষকগণ » Daily Bogra Times
Logo বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সারিয়াকান্দিতে সমবায়ীদের নিয়ে যৌথ সভা ও ই-প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আবারও বিয়ে করলেন সিদ্ধার্থ-অদিতি হারের জন্য স্পিনারদেরও কাঠগড়ায় তুললেন ফাহিম এবাত ইসকন নিষিদ্ধে ১০ আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল যারা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করবে, তারা ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবে আইনজীবী হত্যা : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা জয়পুরহাটে যানজট নিরসনের উদ্যোগে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়  যমুনা সেতুতে ছুটল ট্রায়াল ট্রেন আদমদীঘিতে ১৪৬টি গাছ ৬ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি পাঁচবিবির ‘বৈশাখী’ কবুতর পালনে সফল জলাবদ্ধতার কারণে উল্লাপাড়ার নাগরৌহায় ২শ ৫০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ নিয়ে সংকিত কৃষকগণ বদরগঞ্জে সড়কে যানজট ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে ভোগান্তিতে পথচারীরা  আদমদীঘিতে জমির বিরোধে সাংবাদিককে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত, হাসপাতালে ভর্তি

জলাবদ্ধতার কারণে উল্লাপাড়ার নাগরৌহায় ২শ ৫০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ নিয়ে সংকিত কৃষকগণ

হাফিজুর রহমান হাফিজ,
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
জলাবদ্ধতার কারণে উল্লাপাড়ার নাগরৌহায় ২শ ৫০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ নিয়ে সংকিত কৃষকগণ
print news

উল্লাপাড়া সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নাগরৌহা আবাদী মাঠে জলাবদ্ধতায় এবারে প্রায় আড়াইশো বিঘা জমিতে সরিষা ফসলের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জমির মালিকগণ জানান । জমি মালিকেরা মাঠে গিয়ে জমিতে জমে থাকা পানি দেখছেন। আর কতদিন নাগাদ জমির পানি শুকাতে পারে দিনের হিসাব করছেন। জমি মালিকদের কথায় এবারে তারা জমিতে সরিষা ফসলের আবাদ করতে পারবেন না। পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের কথা কৃষকেরা বলছেন। এতে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে। উল্লাপাড়া উপজেলার পাশাপাশি অবস্থানের ছয়টি মৌজা হলো নাগরৌহা , ভদ্রকোল , বাখুয়া , পংরৌহা , চড়ুইমুড়ী ও ভেংড়ী। এর মধ্যে কয়ড়া ইউনিয়নে একটি চড়ুইমুড়ী ও ভেংড়ী
পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের মধ্যে । আর সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে বাকী চারটি মৌজা। এলাকাবাসীরা জানান স্বাভাবিক বর্ষা হলেই মৌজাগুলোর বেশীর ভাগ আবাদী জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পানি কচুয়া নদীর শাখা বুড়ির বিল নালা হয়ে মৌজাগুলোয় ঢোকে।

সে পানিতে আবাদী জমি কম বেশী ডুবে যায়। তখন কিছু কিছু জমিতে বোনা আমন ধান ছাড়া ফসল থাকে না। প্রায় দুই যুগ আগে স্থানীয় চরপাড়া এলাকায় একজন ইট ভাটা মালিক নিজ উদ্যোগ ও টাকা খরচ করে ভেংড়ী মৌজায় কচুয়া নদী থেকে প্রায় পাচশো ফুট দীর্ঘ একটি নালা খনন করেন। তিনি নিজ ইট ভাটা ব্যবসার সুবিধায় জমি ভাড়া নিয়ে নালাটি খনন করেন। সে থেকেই ভেংড়ী নালা হয়ে মৌজাগুলোর আবাদী মাঠের জমি থেকে অতি সহজেই পানি নিষ্কাশন হতো। আবার নালা হয়ে বন্যার পানি এলাকায় ঢুকতো। এছাড়া বুড়ির বিল নালা হয়ে
বন্যার পানি ঢুকলেও বের হতে পারে না বলে এলাকার লোকজন জানান। প্রায় চার বছর আগে ভেংড়ী নালাটি জমির মালিক ভরাট করে ফেলেন। আর এতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নাগরৌহা ও চরপাড়া এলাকার সুলফিগাড়ী মাঠে প্রায় আড়াইশো বিঘা জমিতে বন্যার পানি জমে আছে। জমিগুলো বন্যার পানির জলজ আগাছায় ভরপুর হয়ে আছে। বন্যার পানি এবারে জমি থেকে সহজে শুকাচ্ছে না বলে জানা গেছে। আবাদী মাঠের উপরের জমিগুলোয় সরিষা ফসলের আবাদে আগাছা পরিস্কার করা
হচ্ছে। এসব জমিতে সরিষা আবাদ নাবী করে হবে। প্রতিবেদককে কৃষক চান মিয়া , মোকাব্বর আলী , আঃ কুদ্দুস , ছাইদুর রহমান ও আরো কয়েকজন জানান সুলফিগাড়ী খাপাল মাঠ বলে পরিচিত জমি থেকে যখন পানি শুকাবে তখন সরিষা ফসলের আবাদের সময় পেরিয়ে যাবে। একেবারে নাবী করে আবাদ করা হলে ফলন তেমন হবে না। আর জমিতে বোরো ধান ফসলের আবাদ পিছিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে সরিষা ফসলের আবাদ করা সম্ভব হবে না। আগাম করে বোরো ধান আবাদ করা যাবে বলে জানান। কৃষকদের অনেকেই বলেন কচুয়া নদী বন্যার
পানি হলে বুড়ির বিল নালা হয়ে বন্যার পানি সহজেই নাগরৌহাসহ আরো কয়েকটি মৌজা এলাকায় ঢুকে পড়ে। তবে বুড়ির বিল নালা কয়েক জায়গায় প্রায় ভরাট হওয়ায় মাঠগুলো থেকে পানি আর বের হতে পারে না। নাগরৌহার সুলফিগাড়ী মাঠের জলাবদ্ধতা কাটাতে মাটির নীচে
পাইপ বসিয়ে কচুয়া নদীতে পানি নিষ্কাশন করার বিষয়ে কৃষকদের মত মিলেছে। বিএডিসির পানাসি প্রকল্পের উল্লাপাড়া জোনের সহকারী

প্রকৌশলী মো. শাহী আমিন বলেন, সরেজমিনে নাগরৌহা মাঠে গিয়ে সব দেখে মাঠের পানি সহজেই নিষ্কাশন ব্যবস্থায় দরকারী উদ্যোগ নেবেন। তিনি ভুগর্ভে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গুরুত্ব দেবেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান জলাবদ্ধতায় সরিষা ফসলের আবাদ করা না গেলে জমির মালিক কৃষকদের লোকসান হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার বিষয় তিনি শুনেছেন। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews