সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৭৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৯
ভারত ২য় ইনিংস: ৬৪ ওভারে ২৮৭/৪ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২১.৩ ওভারে ৮৬/২
সাদমানকে ফেরালেন অশ্বিন
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শর্ট ডেলিভারি পিচ করার পর কিছুটা থমকে গেল। ব্যাকফুটে গিয়ে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করলেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু তার ব্যাটের সামনের কানায় লেগে বল চলে গেল শর্ট মিড উইকেটে। সহজ ক্যাচ নিলেন শুবমান গিল।
প্রায় দেড় ঘণ্টা উইকেটে থেকে আউট হয়ে গেলেন ৩ চারে ৬৮ বলে ৩৫ রান করা বাঁহাতি ওপেনার। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। ১৪ বলে ১৪ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত।
২২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৬ রান। জয় থেকে ৪২৯ রান দূরে তারা।
জয়সওয়ালের দুর্দান্ত ক্যাচে জাকিরের বিদায়
চা বিরতির পর বেশিক্ষণ খেলতে পারলেন না জাকির হাসান। জাসপ্রিত বুমরাহর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মেরে গালিতে ক্যাচ দিলেন বাঁহাতি ওপেনার। বাম দিকে নিচু হয়ে এক হাতে অসাধারণ ক্যাচ নেন ইয়াশাসবি জয়সওয়াল।
৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ বলে ৩৩ রান করেন জাকির। নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। সাদমান ইসলাম ৫১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত।
১৬.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬২ রান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে সেশন পার জাকির-সাদমানের
জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ১৩ ওভারে তাদের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান। জয় থেকে ৪৫৯ রান দূরে তারা।
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে প্রথম ঘণ্টা ব্যাটিং করে ভারত। মাত্র ১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ১০৯ রানে আউট হন রিশাভ পান্ত। ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন শুবমান গিল।
এরপর ৫১৫ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইতিবাচক শুরু করেন জাকির। অন্য প্রান্তে সাবধানী ব্যাটিং করেন সাদমান। দ্বাদশ ওভারে পূর্ণ হয়ে উদ্বোধনী জুটির পঞ্চাশ রান।
জাকির ৩৮ বলে ৩২ ও সাদমান ৪০ বলে ২১ রানে শেষ সেশনের খেলা শুরু করবেন।
জাকির-সাদমান জুটির পঞ্চাশ
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মিড-অনের ওপর দিয়ে মারলেন জাকির হাসান। বল চলে গেল সীমানায়। একইসঙ্গে পূর্ণ হলো সাদমানের ইসলামের সঙ্গে জাকিরের উদ্বোধনী জুটির পঞ্চাশ।
ভারতের মাঠে টেস্টে এটিই উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চাশছোঁয়া জুটি।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান। জাকির ৩৬ বলে ৩২ ও সাদমান ৩৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত।
জাকিরের ইতিবাচক শুরু
প্রথম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি মারলেন জাকির হাসান, দুই বল পর আরেকটি। ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বল ওড়ালেন ছক্কায়। পরে টানা দুই চারে শেষ করলেন ওই ওভার।
৫১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে শুরুটা অন্তত ইতিবাচকই করলেন জাকির। তার সৌজন্যে ৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান।
২০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত জাকির। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম খেলছেন ১৬ বলে ৯ রানে।
৫১৫ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৫০ মিনিট ব্যাটিং করে ইনিংস ঘোষণা দিল ভারত। শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুলের ৫১ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তাদের লিড ছাড়াল ৫০০ রান। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ৫১৫ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৬৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান। পঞ্চম সেঞ্চুরিতে ১১৯ রানে অপরাজিত রইলেন গিল। রাহুল খেলছিলেন ২২ রানে। ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করা রিশাভ পান্ত আউট হন ১০৯ রানে।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশকে রচনা করতে হবে ক্রিকেট ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার শিকার ১টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৭৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৯
ভারত ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৮১/৩) ৬৪ ওভারে ২৮৭/৪ (ডিক্লে) (গিল ১১৯, পান্ত ১০৯, রাহুল ২২; তাসকিন ৭-১-২২-১, হাসান ১১-১-৪৩-০, নাহিদ ৬-০-২১-১, সাকিব ১৩-০-৭৯-০, মিরাজ ২৫-৩-১০৩-২, মুমিনুল ২-০-১৫-০)