বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’-র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত সোমবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল জারি করেন/।
আদালতে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়াসহ ১৩ আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’-র সঙ্গে “জয় বঙ্গবন্ধু” গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়/।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেলসহ ১৩ আইনজীবী রিট দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ জুন বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’-র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু‘ যুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবকে এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়। /সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবী এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশপ্রেরণকারী আইনজীবীরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া, মো. আবু জুবায়ের সজিব, রাশিদা চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম ফারুক, মো. হামিদুল ইসলাম, মিনহাজুল ইসলাম, মো. রায়হান কাওসার, এএসএম শহীদ উল্লাহ, এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম, মো. এহসান হাবিব এবং কুমার ডি. উজ্জ্বল/।
নোটিশে বলা হয়, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস থেকে দেখলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির মুক্তির পথ উন্মোচন করেছিলেন।/ তাই ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শব্দকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ‘জয় বাংলা‘ জাতীয় স্লোগান হতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধকালে সকলেই ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান একসঙ্গে উচ্চারণ করতো। সুতরাং ‘জয় বাংলা’-র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ হবে অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাইকোর্টের একটি মামলার রায়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু‘কে আমাদের জাতীয় স্লোগান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাই নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে ‘জয় বাংলা’-র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান একত্রিত করে পুনরায় গেজেট প্রকাশ করতে অনুরোধ জানানো হয়।/ তবে সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।