জামায়াতকে নিয়ে রহস্য জাল ?
সর্বোত্রই আলোচনা জামায়াত কোন পথে হাঁটবে? জামায়াত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নাকি মাঠের বিরোধী দল বিএনপির খালু হবে? ১০ বছর পর জামায়াত রাজধানী ঢাকায় প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ‘ফুল উপহার’ দিয়েছে।/ অথচ সমাবেশের এক সাপ্তাহ আগে গুলশানে এক রেস্টুরেন্টে মিটিং করার সময় জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে ‘সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র’ অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। একদিকে জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার অন্যদিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া এবং পুলিশ-জামায়াত ফুল দেয়ানেয়া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে কিনা তানিয়ে সবার মধ্যে কৌতূহল বাড়ছে।
গত তিন যুগে দেশের রাজনীতিতে জামায়াত বহুবার জার্সি বদল করেছে। কখনো বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে; আবার কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, অবস্থান নিয়েছে।
জুলুম নির্যাতনের সুনামিতে যে জামায়াতকে দমিয়ে রাখা হয়েছে হঠাৎ করে সেই জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেয়া নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যেমন আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে; তেমনি জামায়াতের ব্যপারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতার পদ-পদবি ও কিছু উচ্ছিষ্ট হেফাজত/ নেতাদের ওপর ছিটিয়ে ‘রক্তাক্ত ৫ মে শাপলা চত্বর’ ইস্যু কার্পেটের নিচে চাপা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা; হেফাজতকে কিছু নেতা ক্ষমতাসীনদের পায়ের নীচে ঘুরঘুর করছে; সেই প্রক্রিয়ায় জামায়াতের কাউকে ভয় কাউকে লোভ দেখিয়ে রাজপথে এনে বিএনপিকে ‘সাইজ’ করা যায় কিনা। কারণ দেশের রাজনীতিতে ‘জামায়াত কার খালু’ বোঝা সত্যিই দুস্কর। গত ৫০ বছরের রাজনীতিতে দলটি একেক সময় একের দলের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। মন্ত্রীদের কথাবার্তায় ‘সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতা’ গুঞ্জন-সন্দেহ আরো বাড়ছে। আর জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের তো বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সিট ভাগ করে দিলে নির্বাচনের কি দরকার। বাতাসে শোনা যায় জামায়াতকে ৫০ সিট দেবে, আমাদের বলছে সংগঠন শক্তিশালী করেন আরো বেশি সিট পাবেন। জাতীয় পার্টি আর সিট ভাগাভাগির নির্বাচন করবে না।’
জামায়াত সুসংগঠিত একটি ক্যাডার ভিক্তিক রাজনৈতিক দল। বিজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন জামায়াত রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী এনজিও বটে। আর্থিক ভাবে ব্যাংক, হাসপাতাল ইত্যাদি দলটি নিয়ন্ত্রণ করে। দলটির উপর নিয়ে গত ১০ বছরে ‘সুনামি’ বয়ে গেছে। এই সুনামি এমন পর্যায়ে হয়েছে যে, কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত পক্ষ্যের প্রতি বিজয়ীরা যে নৃশংস তান্ডবলীলা চালায়-আচরণ করে ঠিক তেমনি। দলটির সম্পদ লুটেপুটে খাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দলটিকে কার্যত কোনো রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করতে দেয়া হয়নি। দলটির অফিসে বছরের পর বছর ধরে তালু ঝুলানো হয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির পর পরিস্থিতি যেন পাল্টে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।
এ নির্বাচনে যারা বাধার সৃষ্টি করবে তাদের ওপর ভিসা নীতি কার্যকর হবে। ১৪ বছর ধরে উন্নয়নের মহাসড়কে উথাল-পাথাল করা সরকারের এই ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন’ ভীতি ধরে গেছে। ফলে দেশবাসীকে চমকে দিয়ে জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয়। অবশ্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের সেই অধিকার খর্ব করে রেখেছিল। তবে জামায়াত নিয়ে মন্ত্রীদের কথাবার্তার ১৯০ ডিগ্রী পরিবর্তন দেখে মানুষের মধ্যে কৌতুহল বেড়ে গেছে। তারা বুঝতে চেষ্টা করছেন জামায়াতকে মাঠে নামতে সুযোগ দেয়ার নেপথ্যের রহস্য কি। তারা কি বিএনপির ভোটে ভাগ বসাতে জামায়াতকে ব্যবহার করবে? মন্ত্রীদের স্ববিরোধী কথাবার্তায় সে সন্দেহ আরো গাঢ় হয়ে যায়।
জামায়াত নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা রহস্যজনক বটে। ২০২৩ সালে ১১ মে ‘ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে।’
গত ৬ মে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিচারের ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে কিনা’ জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই সরকারই মানবতাবিরোধী যুুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। তবে জামায়াতের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট যথেষ্ট নয়। এই আইনটি সংশোধন করা দরকার এবং সেই প্রক্রিয়া চলছে।’ অথচ জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেয়ার অনুমতির পর গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে দোষী বলা যাবে না। বিচার করার পর যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারবো না জামায়াত নিষিদ্ধ।’
‘১৯৭১ এর জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত মন্তব্য করে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি/। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াত এখনো ক্ষমা চায়নি। জামায়াত ক্ষমা চাইলেও মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। জামায়াত যদি নতুন নামে আসে, তাহলে তাদের বিষয়ে কী হবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরনো মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী? নতুন নামে পুরনো আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা। তবে যখন আসবে তখন দেখা যাবে।
জাতীয় সংসদে চলতি বাজেট অধিবেশনে ১৪ জুন আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য আইনমন্ত্রী মাঝে মাঝেই সরকারের উদ্যোগের কথা বলেন, সেই জামায়াতকে ১০ বছর পর প্রকাশ্য সভা করার অনুমতি দিয়েছে, এটা কিসের আলামত? এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল, ঘাতক দল। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে একথা বলেছে। এজন্য নতুন করে আদালতের রায়ের প্রয়োজন নাই। আমি সব সময় বলি সাপের মুখে চুমু খেলে সাপ ছোবলই মারে। জামায়াত- হেফাজতের সঙ্গে তোষামোদ-সমঝোতা সেই ফলই দেবে।’
১০ বছর পর জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেয়ার অনুমতির রহস্য নিয়ে গত ১১ জুন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া একটা পলিটিক্যাল ডিসিশন। সামনে কি হবে তা সময়ই আমাদের বলে দেবে। তারা (জামায়াত) রাজনৈতিক দল, হাই কোর্টের রায় ছিল সংবিধানের সঙ্গে তাদের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক, গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতেও তাদের তো অনেক জনগণের সমর্থন আছে। এ পরিস্থিতির আলোকে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করুন, আরও দেখবেন কী হয়?’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জামায়াত এখনও যেহেতু নিষিদ্ধ হয়নি, রাজনৈতিক দল হিসাবে আবেদন করেছে, সে জন্য তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘জামায়াত একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। দেশের অনেক অনিবন্ধিত দলই বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল তাদের সভা-সমাবেশ ইনডোরে করতেই পারে। তারা ইনডোরে সমাবেশ করতে চেয়েছিল, ডিএমপি কমিশনার সেটা যাচাই করে অনুমতি দিয়েছেন।’
ক্যালে-ারের পিছনের পাতা উল্টালে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২- এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। ২০০৯ সালে হাইকোর্টে দায়ের করা ৬৩০ নম্বর রিট পিটিশনের রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০এইচ ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হলো।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ জুন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধী দল। তারা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের নিষিদ্ধ করা ছাড়া উপায় নেই।’ সংসদে ওই সময়ের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।’ ওই বছরের পরের জুলাই মাসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, ‘আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।’
জামায়াতকে সমাবেশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক আলোচনা-বিতর্ক চলছে। নেটিজেনদের বেশির ভাগই জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেয়াকে স্বাগত জানিয়ে এতোদিন কেন দেয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করছেন। মন্ত্রীদের স্ববিরোধী কথাবার্তা এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের পর জামায়াতকে মাঠে নামতে দেয়াকে রহস্য মনে করছেন অনেকেই। কেউ বলছেন, শাপলা চত্বরে মানুষ মেরে হেফাজতের কিছু নেতাকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাইয়ে, কিছু নেতাকে পদ-পদবি-আর্থিক সুবিধা দিয়ে ৫ মে ‘রক্তাক্ত শাপলা চত্বর’ কর্পেটের নীচে চাপা দেয়া হয়েছে। দিবসটিতে শোকের বদলে একটি ইসলামী দলের শীর্ষ নেতা কন্যার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করে রাজনীতিকদের মিলনমেলা করেছে। কওমীদের সংগঠনের নেতারা যখন বিক্রি হয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধি দিতে দ্বিধা করেননি; তখন জামায়াতকে তো সেভাবে ব্যবহার করা হতে পারে। জিএম কাদের যে ৫০ সিটের কথা বলেছেন সেটা হতেই পারে। তাছাড়া জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এরশাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই দল অংশগ্রহণ করেন। আবার ১০৯৩ সালে জামায়াতের ওই সময়ের আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ব্রেই- চাইল্ড ‘কেয়ার টেকার সকরার’ এর অধিনে নির্বাচনের দাবি সংসদের তোলেন মাওলানা মতিউর রহমান নিযামী। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি আন্দোলন করে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন’ প্রবর্তনে বিএনপিকে বাধ্য করে। ফলে এখন হেফাজতের নেতাদের খুশি করার মতো পর্দার আড়ালে জামায়াতকে খুশি করে বিএনপির বিকল্প হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে তাদের আনা যায় কিনা? কারণ সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে পাতানো নির্বাচন আয়োজনের পথে হাটছে। আর জামায়াতকে যুক্তরাষ্ট্র মর্ডারেট ইসলামী দল হিসেবে মনে করে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পর্দার আড়ালে কি হচ্ছে বলা মুশকিল। তবে হঠাৎ করে সরকারি দলের কাছে জামায়াতের কদর বেড়ে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। তবে যাদের নিয়ে এতো আলোচনা সেই জামায়াতের নেতারা সমাবেশে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল-অবৈধ দল বলেছে তারাই ১০ বছর পর এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে’//।