হারুন অর রশিদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)ঃ- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ১০ বছর পর দায়েরকৃত মামলার আসামি শাহাবুদ্দিনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহাবুদ্দিন উপজেলার উত্তর সাহাবাজ গ্রামের মৃত শামস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। গতকাল রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামির নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে (৩৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের ১০ বছর পর মামলা দায়ের করা হলে এজাহার নামীয় আসামি শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত শাহাবুল ইসলামের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। গত ২২ অক্টোবর/২৪ মামলা দায়েরের পর শাহাবুদ্দিনকেই প্রথম গ্রেপ্তার করা হলো এ মামলায়।
এ মামলায় আ’লীগের ৭৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে যান দুই ভাই শাহাবুল ইসলাম (৩৮) ও মিজানুর রহমান (৩২) । এসময় আ’লীগের সন্ত্রাসীরা শাহাবুল ও মিজানুরকে দেখে ক্ষিপ্ত হন। আসামীরা মিজানুর রহমানের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ধারালো ছুরি, রাম দা, কুড়াল, শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।
এসময় বাঁচার জন্য স্থানীয় মোনায়েমের বাঁশঝাড়ে অবস্থান নিলে আহত মিজানুরকে আসামীরা ঘিরে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় ও শরীরে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় মিজানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শাহাবুল ইসলাম তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আসামিরা শাহাবুল ইসলামকে ছুরি দিয়ে উপূর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত মিজানুর ও শাহাবুল ইসলামকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাবুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত মিজানুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আব্দুল হাকিম আজাদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে।