1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
টাঙ্গাইলে বাড়ছে হাইব্রিড করলার চাষ » Daily Bogra Times
Logo বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে : তারেক রহমান দেশকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে, সবাইকে একজোট থাকতে হবে : ড. ইউনূস ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে শেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ রাণীনগরে কৃষি ঋণ মেলার সমাপনি অনুষ্ঠিত শার্শায় উদ্বোধণ হলো ‘স্বস্তির বাজার’ কমবে নিত্যপণ্যর দাম পত্নীতলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  রংপুরের বদরগঞ্জে কৃষি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায় লালমনিরহাটে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা থানায় অভিযোগ  নীলফামারীর ডিমলায় ট্রাক্টরের চাপায় শিশু মৃত্যু সুন্দরগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রাণীনগরে ধানের বীজ বিতরনের উদ্বোধন বগুড়ার সোনাতলায় সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার সাগরে ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা, বাড়বে দাম বাংলাদেশ আগের পররাষ্ট্রনীতিতে আর নেই: মুশফিকুল ফজল

টাঙ্গাইলে বাড়ছে হাইব্রিড করলার চাষ

নিউজ ডেস্কঃ
  • বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
daily bogra times 12
print news

টাঙ্গাইল জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে দিন-দিন হাইব্রিড করলার চাষ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো পরিচর্যা করায় এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। এতে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সময় ও খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় করলা চাষে প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় এ অঞ্চলের করলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ঘাটাইল, মধুপুর, সখীপুর, ধনবাড়ীসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত আদা, হলুদ, লেবু, বেগুন, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করা হয়। অল্প সময়ে দ্বিগুণ ফসল পাওয়ায় কয়েক বছর যাবত এসব এলাকায় উল্লেখিত ফসলের পাশাপাশি করলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া করলার মাচায় ঝিঙা, ধন্ধুল, পটল, লাউ, সিম ইত্যাদি সবজির চাষ হওয়ায় এক খরচে একাধিক ফসল পাওয়া যায়। করলা চাষের আড়াই মাস পর থেকে ফলন আসা শুরু করে। এক বিঘা জমি (৩৩ শতাংশ) থেকে দুই থেকে তিনদিন পর-পর ১৫ থেকে ১৮ মণ করে করলা পাওয়া যায়। প্রতি মণ করলা গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। এসব এলাকার উৎপাদিত করলা ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারগুলোতে বিক্রি করা হয়। 
সূত্রমতে, গত বছর জেলায় ৬৫৫ হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ৭৬১ টন করলার আবাদ হয়েছিল। এবার ৭২০ হেক্টরের বেশি জমিতে করলার চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে আশানুরূপ।

সরেজমিনে ঘাটাইল ও সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সড়ক ও বিভিন্ন ফসলি জমির পাশে এই হাইব্রিড জাতের করলার চাষ করা হয়েছে। করলার পঁচনরোধে মাচা তৈরি করা হয়েছে। ফলন ও গাছ ভালো রাখতে নিয়মিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচ দেয়া হয়। 

ঘাটাইল উপজেলার শহর গোপিনপুর আশাইরাচালা গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া জানান, আগে তিনি যে জমিতে কলা, বেগুন, লেবু সহ অন্যান্য ফসল চাষ করতেন- সেই ৪৫ শতাংশ জমিতে এবার করলার চাষ করেছেন। এতে তার সব মিলে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ২-৩ দিন পর-পর জমি থেকে ২০ থেকে ২৫ মন করলা ওঠানো যায়। প্রতি মণ করলা দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারছেন। এতে তিনি সব মিলে প্রায় চার লাখ টাকার করলা বিক্রি করতে পারবেন। 

অতি অল্প সময়ে ভালো ফলন পাওয়ায় এই করলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া পরবর্তীতে করলার মাচায় লাউ ও সিমের চাষ করা যায়। এতে মাচার জন্য আলাদা খরচ করতে হয় না।
  
একই গ্রামের রবি খান জানান, তার ৩০ শতাংশ জমিতে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে করলার চাহিদা বেশি, তাই দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলনের ধারা অব্যাহত রাখতে পোকা-মাকড় দমনে সপ্তাহে প্রায় আড়াই হাজার টাকা ওষুধ (কীটনাশক) দিতে হয়। এছাড়া গাছ ও ফলনের গুণগত মান ভালো রাখতে ২ হাজার টাকার মতো ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ সার দেওয়া হয়। এই করলায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম ও লাভ বেশি হয়।
 
কৃষক মেছের আলী জানান, তার ৫০ শতাংশ জমিতে করলার চাষ করার আড়াই মাস পর থেকে ফলন আসতে শুরু করেছে। চারার বয়স তিন থেকে সাড়ে তিন মাসে ফলন পুরোদমে আসে। আরও প্রায় দুই মাস করলা তুলতে পারবেন। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়তি লাভ হচ্ছে। স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের পাইকাররা এসব করলা কিনে পিকআপ ও ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন। 

পাইকারী ব্যবসায়ী আকতার আলী ও বিল্লাল হোসেন জানান, এসব করলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে করলা কেনা যায়। এসব করলা ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে তারা বিক্রি করেন।  

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার জানান, জেলার পাহাড়ি ও চরাঞ্চল উভয় এলাকার মাটিতেই করলার চাষ করা যায়। করলা চাষীদের স্ব-স্ব উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে সব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ফসল উৎপাদনে যে কোন সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews