শান্তিতে নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল রাতে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
রাত ৮টা থেকে ছাত্রদের ১৩ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. তানজিম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে নিশ্চয়তা পেয়েছি। প্রধান হিসেবে সবর্জন শ্রদ্ধেয় নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট সম্মতি দিয়েছেন। দ্রুত সময়ে এ সরকার গঠন করা হবে।
এতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে কাজ করা হবে। ছাত্রদের প্রস্তাবিত সরকারই গঠিত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও প্রেসিডেন্ট ও তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা অরাজকতা ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। ছাত্র-জনতা সরকারি স্থাপনা রক্ষার কাজ করবে। পুলিশে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। আপতত ছাত্ররা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করবে।
আর যেন নাশকতা, লুটপাট, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তালিকায় কারা আছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটি চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আমাদের তালিকা আপাতত প্রকাশ করবো না। ১০-১৫ জনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে। সেটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হবে।
নাহিদ বলেন, ড. ইউনূস আগামীকাল (আজ) দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। তারপর শপথ। এ সময় তিন বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সকলকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্রদের দায়িত্ব পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা।
এখানে পরিকল্পিত হামলা করে ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যারা অপরাধ করেছেন তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে চাই।
এ সময় সংবিধানের ব্যাখ্যায় ড. আসিফ নজরুল বলেন, এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সংবিধানের আলোকে বিভিন্নভাবে বৈধতা দেয়ার সুযোগ আছে। সরকারের মেয়াদ ঠিক হয়নি। তিনি (প্রফেসর ইউনূস) আসার পরে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত।