বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড তাপদাহ। আর এই তাপদাহে সবচেয়ে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য শরীর ঝলসে যাওয়া এই তীব্র গরমের মধ্যেও তাদের কাজ করতে হচ্ছে। জনসমাগম কমে যাওয়ায় তাদের আয় প্রত্যাীশত হচ্ছে না। আর এই প্রচন্ড তাপদাহে পবিত্র ঈদের প্রস্ততিতে কাজ করছে দর্জি শ্রমিক, মুদি দোকনের কর্মচারী, পোষাক দোকানের কর্মচারী, রিকসা,ভ্যান চালকসহ নানা শ্রেনীর মজুর,শ্রমিক।
উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে রেলগেটের দুই পাশে সব সময় রিকসা, টমটম পাওয়া যায়। গত ( ১৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার) সোনার বাংলা মার্কেটের সামনে সকাল ১২ টায় দেখা গেল মাত্র ২ জন রিকসা শ্রমিককে। প্রচন্ড রোদে ক্লান্ত অবস্থায় একজন রিকসার উপরই ঘুমিয়ে পড়েছে। আরেকজনের সাথে কথা বলতেই সে জানাল, এই রোদে রিকসা চালানো যাচ্ছে না। গলা বার বার শুকিয়ে আসছে দুর্বল লাগে।
সান্তাহার রেলগেটে প্রচন্ড রোদে ভ্যানগাড়িতে কলা বিক্রি করছিলেন বাদল । তিনি জানান, আর সহ্য হচ্ছে না,এই রোদে দাড়িয়ে কলা বিক্রি করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সামনে ঈদ। দুটো টাকা বাড়তি রোজগাড় না করলে সংসারের সদস্যদের জন্য কিছ্ইু কিনে দিতে পারবো না। বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে খুব কষ্ট হলেও প্রচন্ড গরমে কলা বিক্রি করছি।
সান্তাহার ঢাকা প্িট্র প্রবেশ করতে একটানা আওয়াজ আসছে কাপড়ের সেলাই করা মেশিনের। সারিবদ্ধ সরু গলির দুই পাশে ঈদের পোষাক তৈরি হচ্ছে এখানে। প্রায় ১৫/২০টি টেইলার্সের দোকান এখানে। প্রচন্ড গরমে প্রতিটি শ্রমিক তাদের কষ্টের কথা জানালো।
এই গরমে সরবতের চাহিদা অনেক। সান্তাহার রেলগেটের পশ্চিম পাশে প্রচন্ড রোদের মধ্যে দাড়িয়ে ভ্যানগাড়ির উপরে সরবত বিক্রি করছে রকিম উদ্দীন। তিনি বলেন, প্রচন্ড রোদে সরবতের চাহিদা বেশি। সরবত খাচ্ছে মানুষ খুব। বিক্রি ভাল, কিন্তু প্রচন্ড গরমে জীবন যায় যায়।