চট্টগ্রামে হঠাৎ চাঙা বিএনপি।
চট্টগ্রামে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আগামী ১৪ জুন ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি। আর এ কর্মসূচি ঘিরে চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।
মূলত তারুণ্যের সমাবেশ হলেও বিএনপিও বেশ সক্রিয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে। প্রশাসন থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা না পেলেও এবার কাজীর দেউড়ি মোড়ে এ সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন নেতারা। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোট কী জিনিস তরুণ প্রজন্ম জানে না। গত ১৪ বছর এই দেশের তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারেনি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের ভোটাধিকার সম্পূর্ণভাবে হরণ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। এই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।
এদিকে, তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা করে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরে তিন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়াও কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় প্রস্তুতি সভা করেছেন। ইতোমধ্যে তিন অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা চট্টগ্রামে এসে সমাবেশকে সফল করার জন্য প্রস্তুতি সভা ও গণসংযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন ও নানা কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা লক্ষণীয়।
অনেকে আবার মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে পুলিশ এখন আর আগের মতো হয়রানি করছে না। ফলে এ সমাবেশকে ঘিরে নতুন করে মোড় নিয়েছে বিএনপির রাজনীতি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য তরুণরা উদগ্রীব হয়ে আছে। কারণ এই সমাবেশের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার ফিরে পাবে। যে ভোটাধিকার আওয়ামী লীগ হরণ করেছিল। তরুণরা রাজপথে নামলে ইতিহাসই পাল্টে যাবে, নতুন ইতিহাস নির্মিত হবে তরুণদের হাত ধরে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, প্রশাসনের কাছে কাজীর দেউড়ি মোড়ের জন্য আমরা আবেদন করেছি, এখনো কোনো ধরনের নির্দেশনা দেয়নি। এরই মধ্যে আমাদের ১০টি জেলার নেতৃবৃন্দ সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি সভা, প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ করছেন। তারুন্যের এ সমাবেশে লক্ষ লক্ষ তারুণ্যের মিলন মেলা হবে। রাজনীতিতে এই তরুণ তাদের আগামী দিনে তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার অধিকার পাওয়ার জন্য এ সমাবেশে আসবে।