তীব্র দাবদাহ ও লোডশেডিংয়ে পুড়ছে বগুড়ার জনজীবন। বৈশাখের শুরুতেই টানা কয়েক দিনের তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বগুড়ার শহর গ্রাম। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এই তাপমাত্রা আরও দুইদিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বগুড়া আবহাওয়া অফিস।বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, বগুড়ায় মঙ্গল সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। আর আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম রয়েছে।
জানা যায় তীব্র গরম এবং লোডশেডিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বগুড়ায়। ছায়া পেলেই সেই স্থানে দাঁড়িয়ে শরীরকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন অনেকে। এছাড়া শহরে শরবত ও ডাবের দোকানে ভিড় করছেন তৃষ্ণা মেটাতে।
রিকশাচালক শামিম জানান বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে সড়কে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে ভাড়াও কমে গেছে।
সোনাতলার হুয়াকুয়া গ্রামের কৃষক মুসা মন্ডল জানান, তীব্র রোদে মাঠে কাজ করতে পারিনি। এজন্য ভোরে বাড়ি থেকে বের হই। রোদের তাপ বাড়ার আগেই বাড়ি ফিরে আসি। এতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে ফসলের যত্ন নিতে। একে তো তীব্র গরম আর এই গরমে বাসায় বিদ্যুৎ থাকে না। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ জেনারেল ম্যানেজার মোনয়ারুল ইসলাম ফিরোজী জানান, চাহিদা অনুযায়ী মেগাওয়াট না পাওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। আমার এরিয়াতে ৮০-৮৬ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মত না পাওয়ায় ১৪ থেকে ২০ শতাংশ সময় লোডশেডিং হচ্ছে।