বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় ধান কাটা শুরু, ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিসসহ কৃষকরা মনে করছেন।
ধান কাটার এই মৌসুমে তীব্র তাপদাহের কারণে শ্রমিক সংকটও দেখা দিয়েছে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায় শুধু সোনালী আর সোনালী ধানের ক্ষেত।
গত কয়েকদিন যাবত উপজেলার নিম্নাঞ্চল তালোড়া ও গোবিন্দপুরের মাঠের ধান কাটা মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও ধান-কাটা মাড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে গত কয়েকদিন যাবত তীব্র তাপদাহের কারণে কৃষকরা শ্রমিক সংকটে ভুগছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার গোবিন্দপুর আমষট্ট গ্রামের কৃষক নিবেশ চন্দ্র বর্মন, কফিল উদ্দীন, উত্তর সাজাপুর গ্রামের ফজের আলী, লিটন, বোরাই মধ্যেপাড়া গ্রামের হাফেজ আব্দুল হালিম, উত্তরপাড়ার রায়হান সরদার রতনসহ অনেকেই জানান, এবার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় কাটার খরচও বেড়েছে।
ইতিপূর্বে তারা বিঘাপ্রতি ৩ হাজার ৫শ’ টাকা দরে চুক্তিতে শ্রমিক ঠিক করলেও বর্তমানে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা চুক্তিতে শ্রমিক ঠিক করছেন। বর্তমানে একজন শ্রমিকের দিনমজুরি সর্বনিম্ন ১২শ’ টাকা। ফলে এলাকার অনেক ভ্যান চালক, রিক্সা চালকসহ অন্য পেশার মানুষরাও অধিক আয়ের আশায় মৌসুমী শ্রমিকের কাজ করছেন।
সামনে কালবৈশাখি ঝড়ের আশংকায় কৃষকরা তাদের কষ্টের সফল ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য অধিক মুল্যেই শ্রমিকের সাথে চুক্তি করে ধান কেটে নিচ্ছেন। আজ শুক্রবার (১৭ মে) এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম জানান, উপজেলায় ইরি বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করা হয়।
এরই মাঝে ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। বিঘাপ্রতি ধান ৫.০৭ টন নির্ধারণ থাকলেও তা অতিক্রম করে প্রতি বিঘায় ৬ টন উৎপাদন হয়েছে।
শ্রমিক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলায় এখনো পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় নাই। ধান কাটা মাড়াই শুরু হলেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক আসতে থাকবে। তখন এ সংকট আর থাকবে না।