সারা বিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীরা নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই কোভিডের এই টিকা সারা বিশ্ব থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রস্তুতকারী কোম্পানি। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছেন তারা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন কী-না তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন, এইটা (টিকা তুলে নেওয়ার বিষয়) আমরা শুনেছি। তবে, আমাদের দেশে এ রকম কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট আমরা এখন পর্যন্ত পাই নাই। আমি এটা জানার পরে ইতিমধ্যেই ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদেরকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।
ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যেন কোনো সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা ইতোমধ্যে করেছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।
এর আগে সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে। বিশেষ করে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু এবং টিকাদান কার্যক্রমে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটা শিশুর জন্য টিকা প্রাপ্তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। টিকা দানের সফলতায় প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিন হিরো উপাধি দেওয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত কার্যক্রমে টিকা দান কর্মসূচি অনন্য সফলতার গল্প হয়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং- এর সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ।