তালতলী উপজেলার বতিপাড়া গ্রামের কৃষক মো. রিপন বলেন, আমাদের বোর ক্ষেতে সেচ দিতে হয়েছে। বোরো চাষে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এ অবস্থায় বাজারে ধানের দাম কম থাকায় ঠিকমতো উৎপাদন খরচই উঠছে না।
ধানের বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলা ও উপজেলায় ধানের হাটে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ব্রি ধান-৬৭ মণপ্রতি ৯২০ টাকা, ব্রি ধান-২৮ মণপ্রতি ৯০০ টাকা ও হাইব্রিড ধান ৮৪০ টাকা। এসব ধানের ফলনে খুশি কৃষক। তবে বাজারমূল্যে খুশি হতে পারছেন না তারা। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিতে অনেক খরচ বাড়ছে। উচ্চমূল্যে সার কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ও শ্রমিকদের মূল্যবৃদ্ধিতে এই দামে ধান বিক্রি করে লোকসানের মুখ দেখছেন কৃষক।
লাউপাড়া গ্রামের কৃষক মাসুম জানান, ধান বিক্রি করতে পাইকার পাই না, বাকিতে বিক্রি করতে হয়। দামটাও ভালো না, ধান কাটতেও বাড়তি খরচ, জানি না কপালে কী আছে আমাদের।
তালতলী উপজেলা সদরের ধান ক্রেতা হাসান তালুকদার জানান, মিল মালিকরা এখনো ঠিকমতো ধান কেনা শুরু না করায় দাম কিছুটা কম। পুরোপুরি কেনা শুরু করলে হয়তো দাম বাড়বে।
তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর ইলিয়াস বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। ধানের ফলনও ভালোই। নতুন ধান কাটা মুহূর্তে দাম কিছুটা কম হলেও তা বাড়বে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে।