কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে মারজুক রাসেল নামক একটি পেইজ থেকে সরকারবিরোধী নানান উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল নিয়মিত। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত হয়েছেন অভিনেতা মারজুক রাসেল। যে কারণে রোবাবার (২৮ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
সেখান থেকে বের হয়ে সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা বলেন, যারা আমাকে চেনেন, বিশেষ করে আমার লেখালেখি, আমার অভিনয়, আমার জীবন যাপনের ধরন সম্পর্কে যারা জানেন তারা ছাড়া অধিকাংশ মানুষই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন। কিন্তু সবাইতো আর আমার লেখার ধরন সম্পর্কে জানেন না।
তিনি আরও বলেন, কোনো কিছুর জন্য ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে। অনেক সময় গাছ লাগিয়ে ফল পাওয়া যায় না। আবার দুধে জ্বাল দিয়েও সর পাওয়া যায় না। সেই ধৈর্যটা ধরলে সহিংসতা কম হয়। ভায়োলেন্স কম হয়।
এদিকে ডিবি কার্যালয়ে মারজুক রাসেল যাওয়ার পর উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া সেই পেইজ থেকে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। সেই স্ট্যাটাস লিখা হয়, আসসালামু আলাইকুম.. এটা আসলে ফেইক পেজ এটা মারজুক রাসেল এর পেজ না আমি উনার অনেক বড় ফ্যান।
তার জন্য আমি উনার নামে খুলছিলাম। এখন আপনারা যদি বলে তা হলে আমি আমার নাম এবং প্রোফাইল চেইনের চেইঞ্জ করবো। আর আপনাদেরকে তো আমি নিউজ এবং আপডেট দিছি এখন যদি আপনারা আমাকে আনফলো করে দেন তা হলে অনেক কষ্ট পাবো।
তো আপনারা যদি বলেন তা হলে আমি নাম এবং প্রোফাইল চেইঞ্জ করবো আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না।
স্ট্যাটাসটি দেয়ার পর মারজুক রাসেলের নামে খোলা সেই পেইজটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আহামেদ রিফাত।
প্রসঙ্গত, জেমসের গাওয়া ‘তেরো নদী সাত সমুদ্দুর’, ‘হাউজি’, ‘মীরাবাঈ’, ‘আমি ভাসবো যে জলে’; আইয়ুব বাচ্চুর ‘আমি-তো প্রেমে পড়িনি’, ‘তোমার চোখে দেখলে বন্ধু’;
আসিফের ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘পাগলা ঘোড়া’, হাবিব ও ন্যান্সির ‘বাহির বলে দূরে থাকুক’―এসব ছাড়াও অসংখ্য জনপ্রিয় ‘গানের কবিতা’ বা লিরিক্স মারজুক রাসেলের লেখা।
ব্যাচেলর (২০০৪), মেইড ইন বাংলাদেশ (২০০৭) তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ।’