নড়াইলে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা সেতু পারাপার।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের লোহাগড়া- ধলাইতলা সড়কের ঘাঘা খালের ওপর নির্মিত সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে একটা অংশ দেবে গেছে। ভেঙ্গে গেছে সেতুর রেলিংগুলো। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে ৮টি গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। চলছে ইজিবাইক, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল, কৃষকের ধান নেয়া ঘোড়ার গাড়ি, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঘাঘা খালের ওপর নির্মিত হয় ২০ মিটার দৈর্ঘের এই সেতুটি।
৩২ বছরের পুরোনো এই সেতু নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বছর দুয়েক আগে।এপপরও সেতুর সংঙ্কার করা হয়নি। দুই বছর আগেই সেতুর মাঝের একটি পিলার দেবে যায়। এতে ধসে না পড়লেও মাঝ বরাবর ভেঙে যায় সেতুটি। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা, যোগিয়া, ধলাইতলা, কোটাকোল, কুমারডাঙ্গা সহ ৮টি গ্রামের লোকজন চলাচল করে।
উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে সেতুর বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ চলাচল করছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, ২০ মিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে। ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে ইজিবাইক, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, কৃষকের ধান নেয়া ঘোড়ার গাড়ি। তবে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন ও স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা হেঁটেই পার হচ্ছে। কোটাকোল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহ আলম বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ার পর সপ্তাহখানেক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিকল্প সড়ক না থাকায় মানুষের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়।
ঘাঘা এলাকার অটোভ্যান চালক মিরাজ শেখ, ইলাক বিশ্বাস, আনোয়ার শেখ বলেন, সেতু ভেঙে গেলেও করার কিছু নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার করতে হয় গাড়ি।
শিক্ষার্থী রাজু,নকিব,সৌরভসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙা সেতু পার হয়েই তারা বিদ্যালয়ে যায়। তবে সেতুটি পার হতে ভয় লাগে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসিম জানান, সেতুটি ভেঙে গেছে পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুটি বন্ধ করেন দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যান সহ স্থানীয়দের চাহিদায় ধান কাটা মৌসুম পযর্ন্ত রাখা হবে। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে নতুন সেতু হতে সময় লাগবে।