নাটোরে হামলায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মী আহত ।
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে দফায় দফায় হামলায় বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পথে পথে হামলার কারণে আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১ টা পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি করতে পারেনি দলটি।
পরে বেলা একটার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পদযাত্রাটি শহরের আলাইপুর এলাকা প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
বিএনপির দাবি, মুখোশধারী আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদের মারধরের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ছিনতাই করছে। তারা বলেন, পুলিশের বাধার মুখে পদযাত্রা দ্রুত শেষ করতে হয়েছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের দাবি, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের পদধারী কেউ নন। এসব ঘটনার দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান শাহীন বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলছে, তারা শোকের মাসে কিছু করবে না। কিন্তু মুখোশ পরে তারাই বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। মুঠোফোন ও টাকা লুটপাট করেছে। পুলিশ এসব ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
জেলা বিএনপির ভাষ্য, আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল নয়টায় শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা শহরের উদ্দেশে রওনাও হয়।
কিন্তু পথে পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে অন্তত ২৫ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে ১২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, দিনের প্রথম ঘটনাটি ঘটে সকাল আটটায় নাটোর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায়। এসময় ১০ থেকে ১২ জন মুখোশধারী দুবৃত্ত বড় বড় হাঁসুয়া ও লাঠি নিয়ে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা করে।
এতে সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোস্তফা আনাম ও কাফুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তুহিন হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। পরে হালসা, স্বর্ণপট্টি মোড়, বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ও স্টেশন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।
এসব হামলায় গুরুতর আহত জেলা যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক সুজাইল সুজা, কাফুরিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সম্পাদক কামাল হোসেন, হালসা ইউনিয়ন যুবদলের সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, খাজুরা ইউনিয়ন যুবদলের সম্পাদক জাকির হোসেন, লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম, ওবায়দুল কবীর, হালসা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, সম্পাদক মো. মোস্তাক, জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য মোজাম্মেল হোসেন, সদস্য শরিফুল ইসলাম ও ওবায়দুল কবীরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে/।