পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে করেননি নাইট ডিউটি। একটানা ১৪ বছর ডিউটি করেছেন আউটডোরে একজন চিকিৎসকের সাথে। দায়িত্ব ছিল রোগীর সিরিয়াল লেখা। অভিযোগ আছে হাসপাতালে আগত রোগীদের সাথে তিনি দুর্ব্যবহার করতেন।শুধু তাই নয় ডিউটিতে এসেছেন /গিয়েছেন নিজের ইচ্ছেমত! অনেক চেষ্টা করেও তাকে দিয়ে কোনো সিভিল সার্জন, টিএইচও এবং নার্সিং সুপারভাইজার নাইট ডিউটি করিয়ে নিতে পারেননি।
অবাস্তব মনে হলেও সত্য এই ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর যার দিকে এই স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে, তিনি হলেন ঐ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। তার নাম আজাদী পারভীন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে ডেপুটেশনে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়িত হন নার্স আজাদী।
তার বছর খানেক পরেই রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সাথে সাথেই আজাদী পারভীন পলাশবাড়ী আওয়ামীলীগের নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুতের বান্ধবী পরিচয়ে টিএইচওসহ সহকর্মীদের উপর অন্যায় ভাবে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে নাইট ডিউটি থেকে তিনি নিজেকে স্ব-ঘোষিত ভাবে প্রত্যাহার করে নেন।
এই ব্যাপারে হাসপাতালটির একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, “আজাদী পারভীনের স্বেচ্ছারীতার বিরুদ্ধে উপর পর্যায়ে অনেক অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। বরং আমরা বার বার ব্যর্থ হয়েছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক এই প্রতিবেদককে জানান, “গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাংবাদিক মোহাম্মাদ আব্দুল মতিন বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও ফেইসবুকে লেখালেখি করলে, আজাদীর ক্ষমতার দুর্গে ফাটল ধরে। সেই ঘটনার পর থেকে নার্স আজাদী পারভীন এখন নাইট ডিউটি নিয়মিতই করছেন।”
তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, এত বড় একটি অনিয়ম(১৪ বছর ধরে নাইট ডিউটি না করা) করা সত্ত্বেও আজাদীকে কোনো বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। তাহলে ঐ নার্সের খুঁটির জোর কোথায়?