জমিজুড়ে আবাদ করা হয়েছে ভুট্টা, গম, আলু, চিনাবাদাম, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি। নীলফামারীর বালুচরে চাষ হচ্ছে ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবিশস্য, বেশি ফলনে কৃষক খুশি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর বিস্তৃত চরে চাষ হচ্ছে এসব রবিশস্য। অথচ কয়েক বছর আগেও এ রকম অবস্থা ছিল না। মাঠের পর মাঠ পড়ে থাকত ধু ধু বালুচর। এসব জমিতে এখন নানা রকমের শাকসবজি ফলিয়ে আয় করছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির মোট পরিমাণ ২৭ হাজার ৩৫৫ হেক্টর। ডিমলার তিস্তার চরে ভুট্টার চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫৪০ হেক্টর, গম ১২৫ হেক্টর, আলু ২৪৫ হেক্টর, মরিচ ৪২ হেক্টর, চিনাবাদাম ১২ হেক্টর, বোরো ধান ১৪০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চাষ হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া, রসুন, পেঁয়াজসহ রকমারি ফসল। কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও প্রণোদনার আওতায় তিস্তার চরে ১ হাজার ১৩৩ জন কৃষকের মাঝে সার, বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘাপ্রতি ৩৫ থেকে ৪৫ মণ পর্যন্ত ভুট্টা পাওয়া সম্ভব, যার বাজারমূল্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ভুট্টা চাষে বিঘাপ্রতি ব্যয় হয় ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা। টেপা খড়িবাড়ি এলাকার কৃষক মো. রফিক বলেন, প্রতিবছর বর্ষায় ভারত ওপার থেকে তিস্তায় পানি ছেড়ে দেয়। এতে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে দেখা দেয় বন্যা। গত বছর অক্টোবরের শুরুর দিকে তিস্তা নদীর পানিতে বন্যা দেখা দেয়। বালুচরে বন্যায় ঘোলা (মাটি মিশ্রিত) পানি আসায় চরে অধিক পলি পড়েছে। ফলে জমি ও বালুচরের উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফসলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এবার বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন, বর্ষার শেষ মৌসুমের বন্যায় নদীর চরগুলোতে বেশি পলিমাটি পড়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা সবাই চাষাবাদ করছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চরে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ভুট্টা উৎপাদিত হবে।