দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ দাফনের দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে নিহত হওয়া জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মফিজুল সরকারের ছেলে বিশালের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে আদালতের নির্দেশে তার পারিবারিক কবরস্থান রতনপুর থেকে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন পুলিশ। এসময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট, চিকিৎসক, ডিবি পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই লাশ উত্তোলন করা হয়। দীর্ঘ দুই মাস পর কবর থেকে নিহত বিশালের লাশ পুনরায় উত্তোলন করা হবে এমন খবরে কবরস্থানের আশপাশে ভিড় করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিশাল হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. উজ্জল বাইন, জয়পুরহাট সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি চিকিৎসক মো. শাহ আলম সোভন, জয়পুরহাট সদর থানার (ওসি, তদন্ত) মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
নিহত বিশালের মা বুলবুলি বেগুম বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে গিয়ে আমার ছেলে বিশাল নিহত হওয়ার পরে আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করি। এরপর জয়পুরহাট আদালতে ১২৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে আমার ছেলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সরকারের কাছে আমার আবেদন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃতি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত (৪ আগস্ট) রবিবার দুপরে জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থী-পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও সাউন্ডগ্র্যানেড নিক্ষেপ করে। এসময় গুলিতে একাদ্বশ শ্রেণির শিক্ষার্থী কলেজছাত্র বিশাল নিহত হন। নিহত শিক্ষার্থী পাঁচবিবির বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাদ্বশ শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত ছিলেন।