পাবনা প্রতিনিধি ঃ পাবনায় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ২২টি মামলায় ৩৫১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৫৬ জন এবং জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ৯৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাবনা জেলা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে- গ্রেপ্তারকৃতরা অধিকাংশই নাশকতা মামলার আসামি এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়াও যারা নাশকতার চেষ্টা করছেন তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তবে বিএনপি ও জামায়াত বলছে- গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশ জামিনে ছিলেন। শুধু চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে কোনো নেতাই বাড়িতে থাকতে পারছেন না। প্রতি রাতেই বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ মন্টু বলেন, ‘সরকার আরেকটা একতরফা নির্বাচন করতে এবং আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।
আমাদের সব নেতাকর্মী এখন ঘরছাড়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঈশ্বরদীতে। কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলছে এবং খুব দ্রুতই এর সুফল ঘরে তুলে আনা হবে।’
একই কথা বলছেন পাবনা জেলা জামায়াতের প্রচার বিভাগের সদস্য মতিউর রহমান। তিনি বলেন, আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে এবং এই আন্দোলন সফল হবে ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের বাড়তি নজরদারি রয়েছে।