আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির জয় ফিলিং স্টেশন পাম্পে পেট্রোলে ওজন কম দেয়ার অভিযোগে বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা
বিচারের দাবীতে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে মোটরসাইকেলের ব্যারিকেট দিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় আধা ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যানবাহন স্বাভাবিক চলাচল শুরু করে।
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ২ টায় আদমদীঘির মুরইল বাজারের পশ্চিমে জয় ফিলিং স্টেশনে সামনে বগুড়া-নওগাঁ
মহাসড়কের এই অবরোধ ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।এদিকে রাত সাড়ে ৮ টায় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুমানা আফরোজ জয় ফিলিং স্টেশন
(পেট্রোল পাম্পে) পৌঁছে নওগাঁর আঞ্চলিক বিএসটিআই অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) শাহ আলম পলাশ খানের
উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পেট্রোল ওজন করে কম দেয়ার সত্যতা পাওয়ায় জয় ফিলিং স্টেশন সিলগালা এবং পাম্পের
মালিকের এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
গত শনিবার দুপুর ২টায় আদমদীঘির বেশ কয়েক জন মোটরসাইকেল চালক ওই পাম্পে মোটরসাইকেলে পেট্রোল তুলে নেন।
এসময় ওজনে কম দেয়া হয়েছে এমন ঘটনার সত্যতা বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল চালকরা পাম্পের সেল্সম্যান শেরেকুল
ইসলামের নিকট প্রতিবাদ করে।
এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক বিক্ষুব্ধ মোটরসাইকেল চালকসহ জনতা জয় ফিলিং স্টেশনের সামনে
বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে মোটরসাইকেলের ব্যারিকেট দিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। অবরোধে ওই সড়কে
চলাচলকারি বেশ কিছু যানবাহন আটক পড়ে। প্রায় আধা ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত ও অবরোধ
প্রত্যাহার করা হয়। পেট্রোল নিতে আসা বিক্ষুব্ধ মোটরসাইকেল চালকরা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে রাত
সাড়ে ৮টায় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট রুমানা আফরোজ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২৯ ধারায় উল্লেখিত আদেশ দেন বলে তিনি
জানান।