পাবনা প্রতিনিধি -পাবনা সাংবাদিকতার নতুন দিকপাল অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শিবলি এবং প্রবীন সাংবাদিক সেরাজুল ইসলাম তোতা তাদের কাজের মাধ্যমে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন।
যতদিন কাগজ কলম আছে, সংবাদপত্র সংবাদ মাধ্যম আছে ততদিন শফিকুল ইসলাম শিবলি এবং সিরাজুল ইসলাম তোতা বেঁচে থাকবেন। এসব গুনী মানুষ নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
মফস্বলে থেকে ঢাকার সাথে সমানতালে কাজ করেছেন শফিকুল ইসলাম শিবলি। তারা ছিলেন আপাদমস্তক স্বনামে খ্যাত সাংবাদিক। মেধা প্রজ্ঞায় রোল মডেল ছিলেন।
প্রকৃত সাংবাদিকতা করতে গেলে শফিকুল ইসলাম শিবলি ও সেরাজুল ইসলাম তোতাকে অনুসরণ করতে হবে।
মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর রাতে পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক কার্যকরী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শিবলি এবং প্রবীণ সদস্য এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম তোতার মৃত্যবার্ষিকীতে স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
পাবনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ সভা।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের পচিালনায় স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, পাবনার সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতীন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, কার্যকরি কমিটির সদস্য রাজিউর রহমান রুমী, কার্যকরী কমিটির সদস্য জহুরুল ইসলাম,
পাবনা প্রেসক্লাবের কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুইট, ক্রীড়া সম্পাদক কলিট তালুকদার, পাবনা প্রেসক্লাবের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক দ্য ডেইলি মর্নিং টাচের নির্বাহী সম্পাদক মনিরুজ্জামান শিপন, পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য ও ৭১ টেলিভিশনের প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শফিকুল ইসলাম শিবলি এমন কিছু রিপোর্ট করেছিলেন, যা সারা বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অনন্য।
কিভাবে একটা সংবাদকে বস্তুুনিষ্ঠ ও সাধারণের মানুষের কথা হিসেবে তুলে ধরা যায়, তিনি তা দেখিয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সাংবাদিকতা করেছিলেন।
সংবাদের বিষয়বস্তু বোঝার আলাদা দক্ষতা ছিল তার। পরে পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান প্রয়াত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।