জয়পুরহাট প্রতিনিধি.ঃ জয়পুরহাটের কালাইয়ে মাত্রাই ইউনিয়নের শমসিরা গ্রামে ২৯ নভেম্বর সকাল দশটায় পরকীয়ার জের স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বে ঝগড়া শুরু হয়, এ নিয়ে শুক্রবার বিকালে তা চরমে পৌঁছায়। ওই নারীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন এর পর শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। সেই ঝামেলার মধ্যেই স্ত্রী কাজল রেখাকে সামনে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন তার স্বামী আমিরুল ইসলাম৷ শমসিরা গ্রাম এলাকায় শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাট জেলা সদর হানাইল বম্বু গ্রামের আফজালের মেয়ে কাজল রেখা৷ কালাই উপজেলার শমসিরা গ্রামের জামাত আলীর ছেলে (৩৮) আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়ের পরেও প্রতিবেশী মৌসুমীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে ভাটা পড়েনি।
এ নিয়ে কাজল রেখার সঙ্গে আমিরুলের সংসারে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকতো। বেশ কয়েক বার তাদের অশান্তি মমীমাংসার চেষ্টা করেছেন স্থানীয়রা। তবে তাতেও বিয়ষটির সুরাহা হয়নি।
জামাইয়ের পরকীয়ার বাধা দেওয়াই কাজল রেখার সঙ্গে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, কাজল রেখা অসুস্থ হয়ে পড়লে কালাইয়ের কোন এক ক্লিনিকে চিকিৎসা নিলে ওখানকার ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিলে
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়, কাজল রেখা কে নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবার বাড়িরর আত্মীয়স্বজন ছুটে আসেন শমসিরা গ্রামে৷
নিহতের পরিবার সাংবাদিকদের জানায়,, নিহতের নাম কাজল রেখা (২৭) একই গ্রামের প্রতিবেশী মৌসুমী নামের জৈনক নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জামায় বলে তাদের দাবি।
কাজল রেখার পরিবারের দাবি, জামাইয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী মৌসুমীর নামের একটা নারী পরকীয়ার সম্পর্কের জন্যই এ অঘটন ঘটেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাজল রেখার মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে৷