প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে যাবো- হিরো আলম।
‘ঢাকা-১৭ আসনে আমার প্রার্থিতা ষড়যন্ত্র করে বাতিল করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন হিরো আলম। আজ রোববার ঢাকায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। পরে মোবাইল ফোনে এক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম এ কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বাতিলের পরও আমি হতাশ হইনি। বগুড়াতেও আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। বগুড়ার মতো এবারও আমি উচ্চ আদালতে যাব প্রার্থিতা ফিরে পেতে। আমি অবশ্যই প্রার্থিতা ফিরে পাব।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘ভোটে দাঁড়াতে কী প্রয়োজন, সে বিষয়ে আমার ভালো ধারণা আছে। আমার সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও ষড়যন্ত্র করে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘ওনারা যে ভোটারের সংখ্যার কথা বলেছে, তা আমি দিয়েছি। তারা নাকি আমার ১০টা ভোটার খুঁজে পায়নি। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ফোন করা হয়, তারা নাকি আমার ভোটার খুঁজে পায় না। তখন আমি তাদের নিজেই সহযোগিতা করি। আমরা এক মাস ধরে ৩ হাজার ৩০০ ভোটারের নাম সংগ্রহ করেছি। অথচ তারা পেল না। আমার ভোটারদের তারা ভালো করে না খুঁজে অন্যায়ভাবে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে দুই আসনেই প্রার্থিতা ফিরে পান। দুই আসনে হিরো আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন//।