রমজান মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বগুড়ার বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইফতারির দাম। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। শহরের বিভিন্ন বাজারে ইফতার সামগ্রীর দাম গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রোজাদারদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
সোমাবার (৩ মার্চ) বগুড়ার শেরপুরে বাজার ঘুরে দেখা যায়, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, কলা - ১৩০ টাকা কেজি, পিঁয়াজু প্রতি ১০০ গ্রাম ২০ টাকা, বেগুনি প্রতি পিস ৫ টাকা, সোলা বুট - ২৫০ গ্রাম ৩৫ টাকা, রসবন্দিয়া প্রতি ২৫০ গ্রাম ৫০ টাকা, জিলাপি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, শাকের বড়া- ৫ টাকা পিস, মুরি ১০০ গ্রাম ১০ টাকা, চানাচুর- ১০০ গ্রাম ১০ টাকা, বাদাম ১০০ গ্রাম ৩০ টাকা, নিমকি ১০০ গ্রাম ২০ টাকা, চিরা ভাজি - ১০০ গ্রাম ২০ টাকা,আলুর চপ- ৫ টাকা পিস, ডিমচাপ ১৫ টাকা পিস, জালিটিকা ১০ টাকা পিস এবং ছোট সাইজের আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা জোরায়।
বগুড়া শহরের সাথমাথায় বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা যাদের আয় কম, তারা তো ভালো ইফতার কিনতে পারছি না। একসময় ৫০ টাকায় অনেক কিছু কেনা যেত, এখন ১০০ টাকাতেও তেমন কিছু মেলে না।”
শেরপুর শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, "আগে রমজানে পরিবারের জন্য একটু ভালো খাবারের আয়োজন করতাম। কিন্তু এখন দাম এত বেশি যে শুধু প্রয়োজন মেটাতেই কষ্ট হচ্ছে।"
গৃহিণী শারমিন আক্তার বলেন, “বাচ্চাদের জন্য ভালো ইফতার তৈরি করতে চাই, কিন্তু সবকিছুর দাম এত বেশি যে পছন্দের জিনিস কিনতে পারছি না। প্রতিদিনের বাজেটের মধ্যে থাকা কঠিন হয়ে গেছে।”
ব্যবসায়ীদের দাবি, বৈশ্বিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। তবে এর ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, "আমরা তো লাভের জন্য বেশি দামে বিক্রি করছি না। ক্রয়মূল্যই বেশি, তাই বিক্রির দামও বাড়াতে হচ্ছে।"
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, স্থানীয়ভাবে এর প্রভাব এখনো তেমন দেখা যাচ্ছে না। ক্রেতারা আশা করছেন, রমজানের মাঝামাঝি সময়ে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে।