বগুড়ায় কৃষকের বোরো ধান কেটে দিলনে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটফুলবাড়ি ইউনিয়নের নিমপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মিলনের জমির ধান কাটা কেটে দেয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। কৃষক মিলনের প্রায় আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলবুর রহমান/, সারিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজন কুমার বসাক, পৌরসভা মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, হাটফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ প্রমুখ।ধানকাটার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন/, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ধান কাটা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের ধান কোনভাবেই মাঠে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। কৃষকরা সারাদেশে বোরো ধান কাটার আনন্দে মেতেছেন।/ আমরা বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে কথা দিচ্ছি বগুড়ার কোন কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন না। তাদের ধান মাঠ থেকে গোলা পর্যন্ত আমরা পৌঁছে দিব। এরপর সেই ধান বিক্রিতে কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্য পান সেটাও নিশ্চিত করা হবে।
জানা যায় বগুড়ায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা/ হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩ মেট্রিকটন। গত বছরে বোরা চাষ হয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। বগুড়ায় এ পর্যন্ত ধান কাটার উপযোগী হয়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশ। যার পরিমাণ ৩ হাজার ৭শ' হেক্টর। এখন পর্যন্ত ৫৭০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। আগামী ১২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কাটার উপযোগী হবে এমনটাই আশা করছেন জেলার কৃষি কর্মকতারা। গতবারের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হয়েছে/।