বগুড়ায় তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন।
বগুড়ার তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। রোববার থেকে বগুড়াসহ এর আশে পাশে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তপ্ত প্রকৃতিকে ঠান্ডা করতে পারেনি। দুই একদিন তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমলেও গতকাল দিনভর ছিল ঠা ঠা রোদ। সাথে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় দর দর করে ঘামছেন মানুষ। আর দুর্বিসহ যন্ত্রনাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে অসহনীয় করে তুলেছে ঘন ঘন লোডশেডিং।
এদিকে এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে সহজেই নিস্তার মিলছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ভয়াবহ এই অবস্থার জন্য প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে জ্বর, সর্দি. কাশি, মাথাব্যাথা রোগির সংখ্যান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আরও ভোগান্তিতে পড়েছে প্রতিটি স্কুলে ১ম সাময়িকী পরীক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা।
এবার আকাশ কালো করে ঝুম বৃষ্টির দেখা নেই গত তিন মাস হলো। চৈত্র থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাসও শেষের পথে। কয়েক মাস হলো বৃষ্টিহীন আকাশ বাতাসসহ বাড়ির আসবাবও তেতে আছে। দিনরাত আগুনের হল্কা ছাড়ছে প্রকৃতি। দিনে তো বটেই রাতেও বিছানায় থাকতে পারছেন না মানুষ। দিনের শুরুটাই হচ্ছে তপ্ত গরম নিশ্বাস দিয়ে। তা চলছে দিন ও রাতে সমান তালে। গাছের ছায়ায় বসে যে বিশ্রাম নেবেন সেই উপায়ও থাকছে না। গরমে ও তাপদাহে শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। দুপুরে চিরচেনা ব্যস্ত শহর অনেকটায় ফাঁকা হয়ে পড়ছিল। যারা বের হয়েছে তারা নিতান্ত প্রয়োজনেই বের হয়েছে।
শহরের সুত্রাপুরের রাজিব ও তার পরিবারের সবাই আজ এক সপ্তাহ জুরে জ্বর সর্দি ও মাথাব্যাথায় ভুগছেন। তিনি বলেন, একজন ভাল হয় তো আরেকজন পড়ে। প্রচন্ড গরমে এই অস্থিরতা বেড়েছে সবার মধ্যে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, আজ (১৫ জুন) বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা সকাল ৬টায় ছিল ৮৮ শতাংশ, ৯টায় ছিল ৮৬ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ৭৯ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় মানুষ বেশি ঘামছেন এবং বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। বিক্ষিপ্তিভাবে হালকা-পাতলা বৃষ্টিপাত হলেও ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে গরমের এই ভয়াবহ তাপ আরও কয়েকদিন সহ্য করতে হবে মানুষ ও প্রাণিকূলকে।