গত সোমবার রাত ১০টা ৩৩ মিনিট। আটটি মোটরসাইকেলে আসা ২২-২৪ জন মুখোশধারী ব্যক্তি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড় এলাকা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়কে এসে থামেন। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা ব্যাগে করে আনা পাথরের বড় বড় টুকরো হাতে নিয়ে প্রথম আলো’র কার্যালয় লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকেন। বাইরে থেকে পাথর ছুঁড়ে তারা প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনের ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট ১০ এমএম মোটা কাঁচের দেয়াল ভেঙে চুরমার করেন। এছাড়া কার্যালয়ের ডিজিটাল সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করেন। এরপর মোটরসাইকেল চালিয়ে হামলাকারীরা জেলখানা মোড় হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলা-ভাঙচুরে সময় নিয়েছেন তারা দুই মিনিটের কম।
প্রথম আলো’র বগুড়া কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এসব তথ্য উঠে এসেছে। হামলাকারীদের শনাক্তে পুলিশ রাতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। প্রথম আলো বগুড়া কার্যালয়ের অবস্থান শহরের জলেম্বরীতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়কের দোতলা একটি ভবনে। ভবনের নীচতলায় চুঁই ঝাল-রেস্তোরা এবং জুস বার।
জুসবারের কর্মচারি আরমান হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার পর পরপরই আটটি মোটরসাইকেলে শহরের কালিবাড়ি মোড় থেকে ২০-২২ জন ব্যক্তি এসে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে থামেন। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা বাইরে থেকে প্রথম আলো কার্যালয় লক্ষ্য করে এলোপাথাড়িভাবে ব্যাগে করে নিয়ে আসা পাথর ছুঁড়তে থাকেন। তারা প্রথম আলো কার্যালয়ের দোতলার কাঁচের দেয়াল ও ডিজিটাল সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে মোটরসাইকেলযোগে জেলখানা মোড় হয়ে দ্রুত হামলাস্থল ত্যাগ করেন। জুসবারের কর্মচারি ইমন বলেন, হামলাকারীরা ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ। তাদের মুখে মাস্ক পরা ছিল। দুই মিনিটের মধ্যে তারা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করে চলে যান।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার পারভেজ বলেন, আমরা রোববার থেকেই হামলার আশঙ্কায় ছিলাম। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও ওসিকে অবগত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সচরাচর রাত ১১টা পর্যন্ত অফিসে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু হামলার আশঙ্কায় পৌনে ৯টার দিকেই বাসায় চলে যাই। পরে জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফোন করে জানান, আমাদের অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা কার্যালয়ে ছুটে আসি। অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে আটটি মোটরসাইকেলে আসা ২২-২৪ জন মুখোশধারী ব্যক্তি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড় এলাকা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়কে এসে থামেন। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা ব্যাগে করে আনা পাথরের বড় বড় টুকরো হাতে নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয় লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকেন। বাইরে থেকে পাথর ছুঁড়ে তারা প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনের ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ১০ এমএম মোটা কাঁচের দেয়াল ভেঙে চুরমার করেন। এছাড়া কার্যালয়ের ডিজিটাল সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করেন। এরপর মোটরসাইকেল চালিয়ে হামলাকারীরা জেলখানা মোড় হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলা-ভাঙচুরে সময় নিয়েছেন তারা দুই মিনিটের কম। হামলাকারীদের শনাক্তে পুলিশ রাতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।