বগুড়ার আদমদীঘি চাঁপাপুর বাজারের ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এজেন্ট ব্যাংক থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার মূল হোতা ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মো. সুজন রহমানকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ বগুড়া ও র্যাব-৪ সাভার।
গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে এক যৌথ অভিযানে ঢাকার ধামরাই উপজেলার তালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুজন বগুড়ার কাহালু উপজেলার এনামুল হকের ছেলে।
গত ২৩ মে মার্জিয়া বেগম নামের এক গ্রাহক ওই ব্যাংকে তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে এসে এ্যাকউন্টে টাকা কম দেখতে পেলে সুজনের টাকা আত্মসাতের ঘটনা সামনে আসে। ওই দিন সুজন ব্যাংকে না আসলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বাসায় তালা লাগিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত সুজন র্যাব’র জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, উল্লেখিত এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার আউটলেটটি তার বড় চাচার নামে লাইসেন্সকৃত। তার বড় চাচা বিভিন্নভাবে আর্থিক সংকটে পড়লে তারা মিলে পরিকল্পনা করে গ্রাহকের টাকা জমা নেয়ার সময় রিসিপ্ট না দিয়ে গ্রাহককে ম্যানেজ করবে এবং ওই টাকা গ্রাহকের একাউন্টে জমা না করে তারা নিজেরা ভাগ করে নিবে। অপরদিকে গ্রাহকের ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে তাদের একাউন্টে রাখা টাকা উত্তোলনের সময় একাধিকবার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে বেশি টাকা উত্তোলন করে তা ভাগ করে নিতো। এভাবে এক বছর ধরে ধাপে ধাপে তারা প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।