শেরপুর, বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
কাঞ্চনজঙ্গা ও হিমালয়ের হিম প্রবাহে উত্তর-অঞ্চলে আগেই লেগেছে শীতের হাওয়া । তাই নিম্ন আয়ের মানুষেরা পোশাক কিনতে ছুটছেন হাটের দোকানগুলোতে । রবিবার (৩০ নভেম্বর) বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর হাটে দেখা মেলে এমন চিত্র।
জানা যায়, বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক হাট গুলোর মধ্য নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর হাট অন্যতম বড় । সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও আসেন কম দামে গরম কাপড় কিনতে। এখানে মেলে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জ্যাকেট, সোয়েটার, টাউজার, মাফলার, টুপি, ফুলহাতা গেঞ্জি ও কম্বলসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র ।
হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, শীত মৌসুমে নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে নতুন ও পুরাতন শীতের কাপড়ের বেচা-কেনা। শীত মৌসুমে প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়।
পোশাক বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, আমি শীত মৌসুমে এই হাটে শীতের জামা-কাপড় বিক্রি করি। এখানে সাধারণত নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা আসেন। আবার মধ্যবিত্ত লোকেরাও আসেন। কমদামি কাপড়গুলো ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে, মাঝারি ধরনেরগুলো ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা আর কিছু দামী কাপড় ও কম্বল ৭০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে।
হাটে পোশাক কিনতে আসা অটোরিক্সা চালক আব্দুল মমিন জানান, শীতের সকালে রিক্সা চালাতে খুবই কষ্ট হয়। তাই কম দামে শীতের গরম জ্যাকেট কিনতে হাটে এসেছি। শহরের মার্কেটের দোকানে একটি জ্যাকেট কিনতে গেলে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার বেশি প্রয়োজন হয়। আর এখানে আমি মাত্র ৩০০ টাকায় মোটা কাপড়ের বিদেশি টুপিওয়ালা জ্যাকেট (হুডি) কিনতে পেরেছি।
আরেক বিক্রেতা শেখ সাদি বলেন, এসব শীতের কাপড় অতটা পুরাতন নয়। বিদেশীরা কিছুদিন ব্যবহার করে তা বিক্রি করে দেয়। আবার গার্মেন্টসের কিছু ঝুট পোশাকও এখানে আসে। কম দামে বেচা-কেনা করতে পেরে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভই খুশি থাকেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বগুড়ায় গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস । আজ শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। সকালে ও সন্ধ্যা থেকে রাত অব্দি ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে শহর ও গ্রামের পথ ঘাট।