বগুড়ায় স্কুলছাত্র নাসিরুল হত্যা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাবতলী ইশ্বরপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম, ইলেজা বেগম এবং মো: রিফাত৷ মঙ্গলবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা।
নিহত নাসিরুল ইসলাম নাসিম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মন্ডলের ছেলে। সে ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শব-ই-বরাতের রাতে এশার নামাজের পর মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর নাসিম বাড়ি ফেরেনি। সম্ভাব্য সব স্থানে ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় ওয়াজেল মন্ডল পরদিন সারিয়াকান্দি থানায় ডায়েরি করেন। পরে মোবাইল ফোনে দুর্বৃত্তরা তার বাবাকে জানায়, নাসিমকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ছেলেকে ফেরত পেতে ওয়াজেল মন্ডল বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।ওই টাকা নিতে এলে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ বিকাশের দোকান থেকে নাসিমকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গাবতলীর নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ফুফাতো ভাই এনামুল হককে আটক করে। তিনি সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির ছাত্র। জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল তার মামাতো ভাই নাসিমকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তিতে নিখোঁজের ৮দিন পর সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদের তালাবদ্ধ বাড়ির গোয়াল ঘরে মাটি খুঁড়ে নাসিমের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি পঁচন ধরা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে বাকি আসামিদের ধরতে র্যাবও কাজ শুরু হয়।
র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সারিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।