বগুড়ায় ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ফুলবানুকে হত্যার ১৯ বছর পর স্বামী চাঁন মিয়ার (৪৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া জেলা দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক জালাল উদ্দিন এ রায় দেন ৷ এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রিজার্ভ বাড়ছে, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি: বাণিজ্য উপদেষ্টারিজার্ভ বাড়ছে, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন। আসামি নাম চাঁন মিয়া (৪৫) জেলার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা পদ্মপাড়া এলাকার চুন্নু মিয়ার ছেলে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার স্ত্রী ফুলবানুকে হত্যার ১৯ বছর পর স্বামী চাঁন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক জালাল উদ্দিন। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে শোবার ঘরে চাঁন মিয়ার সাথে তার স্ত্রী ফুলবানুর সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে চাঁন মিয়া তার পরনে থাকা গেঞ্জি দিয়ে ফুলবানুর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ৷ এরপর ফুলবানুর পরনে থাকা শাড়ী দিয়ে ঘরের তীরের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজান। এ ঘটনার পরের দিন পুলিশ চাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে এবং নিহত ফুলবানুর বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতে চাঁন মিয়া স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে শাজাহানপুর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক আসামি চাঁন মিয়াকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দেন। সেই চার্জশীট দাখিলের ১৯ বছর পর সকল কার্যক্রম শেষে আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।