বগুড়ার করতোয়া নদী ২০কি.মি ড্রেজিংসহ ওয়াকওয়ে, সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প অনুমোদন । পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন।
করতোয়া নদী ২০ কিলোমিটার ড্রেজিং, ওয়াকওয়ে, সৌন্দর্য বর্ধণসহ সুবিল খাল খননের জন্য ৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রকল্প গতকাল সোমবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন।
এর মাধ্যমে বগুড়াবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করতোয়া নদী খনন, নদীর পশ্চিম পাড়ে ওয়াকওয়ে, সুবিল খাল খনন এবং সুবিল খাল সংলগ্ন্ন অটোখাল খননের কাজ চলতি অর্থ বছরেই শুরু হচ্ছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, করতোয়া নদীর ২০ কিলোমিটার, সুবিল খালের ২০ কিলোমিটার ও সুবিল খাল সংলগ্ন অটো খালের সাড়ে ৭ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এসপি ব্রিজ পর্যন্ত নদীর পশ্চিম পাড় দিয়ে ৭৩০ মিটার ওয়াকওয়ে (পায়ে হাঁটা পথ) নির্মাণ হবে। যার প্রশস্ত হবে ৭ ফুট। ওয়াকওয়ের পাশে থাকবে ৭ টি ছাতা ছাউনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, ড্রেজিং হলে নদীর পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ড্রেজিংএর ফলে জেলা শহরের বাইরে নদীর পাশে শুষ্ক মৌসুমে অনেক জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে।
শহরতলীর মাটিডালী থেকে বনানী পর্যন্ত করতোয়া নদী খনন, সুবিল খাল চাঁদমুুহা থেকে শহরের করতোয়ায় এসে যেখানে মিলিত হয়েছে ওই পর্যন্ত খনন করা হবে। এছাড়াও সাড়ে ৭ কিলোমিটার সুবিল খাল সংলগ্ন অটো খাল ড্রেজিং করা হবে।
গতকাল সোমবার ডিসি বগুড়ার ফেইজবুক পেইজ থেকে দেওয়া পোস্টে এই প্রকল্প অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে। পোস্টে জেলা প্রশাসক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বগুড়া-৬ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সদস্য (সচিব), বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার কৃতি সন্তান সাবেক অর্থ সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিবের প্রতি।
তিনি আরও লেখেন তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন বগুড়া ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ে অনুমোদন করা সম্ভব হলো।