বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি রামেশ্বরপুর শামছুল উলুম বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অনিয়ম ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এসবের প্রতিবাদে রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শতাধিক এলাকাবাসী মাদ্রাসা অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
গত ১৯ নভেম্বর ২০২৪ সালে মাদরাসার অভিভাবক সদস্য ও গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাদরাসার সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এরই পেক্ষিতে আজ রবিবার সকলে সরেজমিন দেখা যায়, এলাকার কয়েক’শ লোক অফিস কক্ষ তালা লাগিয়ে মাদ্রাসার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
অভিযোগসুত্রে জানা যায়, সুপার যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানের সাবেক আয়া কে তার চাকরিকাল পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে অব্যহিত দেন। এবং পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে নতুন আয়া নিয়োগ দেন। মাদ্রাসার সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত আয় মাদ্রাসার তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। তহবিলের টাকা ইচ্ছেমতো খরচ করছেন। মোস্তাফিজুর রহমান অএ প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি তাকে অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে সর্বমোট পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্বসাত করেন। যে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা- তদবীর ও চেয়ারম্যান সাহেব কর্তৃক সালিশ করার পরও ফেরৎ দেয়নি।
উপস্থিত গ্রামের সফিকুল, বাচ্চু, জাফরসহ অনেকই জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বেশ কিছু অনিয়ম হটকারিতা এবং অর্থ ক্যালেঙ্কারীর মত কার্যক্রম করে আসছেন। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তারা প্রতিবাদ জানাতে মাদ্রাসায় এসেছেন।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হাকিম অভিযোগের সত্যতা ভিত্তিহীন বলে জানান, আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ঠিক নয়। আমি এর প্রমাণ সরূপ সকল ডকুমেন্টস উর্ধতন কর্তৃপক্ষর কাছে জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজ্রুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে । এ ব্যাপারে (ইউএনও) অবগত আছেন। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।