আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় সান্তাহার পৌর শহরে ২০ শয্যার
একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। ব্যাপক বরাদ্দ,চিকিৎসক
নিয়োগসহ নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও আজ অবধি হাসপাতালটি পুর্নাঙ্গভাবে চালু হয়নি।
সান্তাহারে আর কোন সরকারী চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রায় বৃহত্তর সান্তাহারের প্রায় ১ লাখ
মানুষ সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
এই সান্তাহার পৌর শহরে একটি প্রাচীন রেলওয়ে হাসপাতাল আছে। কিন্তু সেখানে কোন
চিকিৎসক না থাকায় রোগিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। সেখানে কর্মচারী,অনান্য
জনবলও কম। হাসপাতালটির অবস্থা অত্যান্ত করুণ।
আদমদীঘি সদরে ৫০ শয্যার একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ আছে। কিন্তু সেখানেও তীব্র জনবল
সংকট চলছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ায় রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেখানে
দীর্ঘদিন ধরে এ¥রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে।
আদমদীঘি উপজেলার স্বাস্থ্যর এই দুরাবস্থা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আদমদীঘি উপজেলার
নির্বাচনে প্রাার্থীদের ভোটের ফলাফলে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারে বলে অনেকে মনে
করছেন।
এ বিষয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নূরূল ইসলাম
তালুকদার জানান, এই মুহুর্তে আমি নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছি। পরে আপনার সাথে কথা
হবে।
সান্তাহার পৌরসভার বর্তমান প্রধান প্রধান সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। প্রধান প্রধান সড়ক
বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংবাদপত্রে নানা সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে সান্তাহার
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, সান্তাহার পৌরসভা এলাকায় মোট পাকা
সড়কের পরিমান ৪৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ পাকা সড়কের দৈঘ্য প্রায় সাড়ে
পাঁচ কিলোমিটার।
এ বিষয়ে বগুড়া-৩ আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার জানান, আমি নির্বাচিত হলে
দুই উপজেলার সড়ক, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন সর্বপ্রথম করবো।
আদমদীঘির সিনয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাফিজার রহমান বলেন, আদমদীঘি
উপজেলার গ্রামীন জনপদের সড়কের অবস্থা ভাল না। দীর্ঘ ১০ বছর কোন কোন গ্রামীন এলাকায়
সড়কসহ তেমন কোন উন্নয়ন দেখা যায়নি। তা ছাড়া সান্তাহার পৌরসভার প্রধান প্রধান
সড়কের অবস্থা ভাল না। আসন্ন নির্বাচনে এই ইস্যূগুলি ফাক্টর হিসেবে দেখা দিতে পারে।