বজ্রপাতের প্রধান কারণ ও বজ্রপাত থেকে বাচার উপায়।
বজ্রপাতের প্রধান কারণ হলো মেঘের মধ্যে স্থাপিত হওয়া আদ্রতা এবং বিভিন্ন পরিবেশের শর্তাবলীর সমন্বয়ে সৃষ্ট হওয়া আপেক্ষিক আদ্যতার ফলে মেঘ ও পৃথিবীর ভেতরে পানির ভরের পারস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট হওয়া বৈদ্যুতিক আদ্যতা।
একটি বজ্রপাতের জন্য প্রথমে মেঘের মধ্যে পানির ভর গঠিত হতে হবে। প্রকৃতির কাছে মেঘ কাঁচামাল হিসেবে পরিণত হয়ে পড়ে এবং কোনো নির্দিষ্ট
একটি বজ্রপাতের জন্য প্রথমে মেঘের মধ্যে পানির ভর গঠিত হতে হবে। প্রকৃতির কাছে মেঘ কাঁচামাল হিসেবে পরিণত হয়ে পড়ে এবং কোনো নির্দিষ্ট উপস্থিতিতে সংঘটিত হতে পারে যেমন তীব্র উচ্চতা, তাপমাত্রা, তরঙ্গবেগ, ভূমিকাগত আদ্যতা ইত্যাদি। এই আদ্যতাগুলির সমন্বয়ে পানির ভরের পরস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এবং বিদ্যুতিক আদ্যতা উত্পন্ন হওয়ায় বজ্র দিয়ে জালানি সৃষ্ট হয়।
উপস্থিতিতে সংঘটিত হতে পারে যেমন তীব্র উচ্চতা, তাপমাত্রা, তরঙ্গবেগ, ভূমিকাগত আদ্যতা ইত্যাদি। এই আদ্যতাগুলির সমন্বয়ে পানির ভরের পরস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এবং বিদ্যুতিক আদ্যতা উত্পন্ন হওয়ায় বজ্র দিয়ে জালানি সৃষ্ট হয়।
বিভিন্ন কারণে মেঘের ভেতরে এই আদ্রতা গঠিত হতে পারে, যেমন:
এইভাবে মেঘের ভেতরে সৃষ্ট হওয়া বৈদ্যুতিক আদ্রতা ও সাথে পানির ভরের পরস্পরিক অন্তর্ভুক্ততা ও ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাত থেকে বাচার উপায়ঃ
* বজ্রঝড় সাধারণত ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাবেন, এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেবে।
* বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে যদি থাকেন তাহলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।
* বজ্রপাতের আশংকা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।
* বজ্রপাতের সময় যে কোন ধরণের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে, ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।
* খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক ।
* বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়াই উচিৎ হবে। সমুদ্রে বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
* যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ রাখা যাবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে দেড়’শোর মত মানুষ মারা যান।
বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হাওর অঞ্চলে। মানুষ ছাড়াও বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুও মারা যায়।
মৃত্যুর সংখ্যা বিচার করে বাংলাদেশের সরকার বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে//।