বদরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধিঃ- স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও হয়নি সেতু নির্মাণ। ভোট আসলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেতু নির্মাণের।আজও কথা রাখেনি কেউ। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন বদরগঞ্জ পৌরশহরের অংশে নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ।ফলে ইউনিয়নের হাজারো মানুষের পারাপার বর্ষায় ভরসা নৌকা’নদীতে পানি কমে গেলে ভরসা তাদের বাঁশের সাঁকো। দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও সরকারের আমলে নজরে আসেনি ওই স্থানে সেতুর নির্মাণের বিষয়টি।মিলেছে শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতি এলাকাবাসীর দাবি পুরন না হলেও একদিকে বছরের পর বছর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ফায়দা লুটছে একটি প্রভাবশালী চক্র,অন্যদিকে বর্ষায় নৌকা আর শুকনোয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ইজারাদারের হয়েছে পোয়াবারো।
মধুপুর ইউপির এহিয়াগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আবু তাহের বলেন ২০০২ ঘাট পারাপার হয়ে আসছি ২২ বছর ধরে দেখে আসছি। অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিজ হবে। ভোট এলে জনপ্রতিনিধিদের ব্রিজ হওয়ার এই প্রতিশ্রুতি দিলেও ২২ বছরেও কার্যকর হয়নি। আদো হবে কিনা জানিনা।
ঘাটের মাঝি আব্দুল লতিফ বলেন, এ বছরে ১ লক্ষ ৬০ হাজার লাখ টাকায় ঘাটের ইজারা হয়, প্রতিদিন হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার হন। সপ্তাহে দুদিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার বদরগঞ্জ হাটবার এ দুদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ পারাপার করেন। অনেক বছরে খেয়া ঘাটে মাঝি হিসেবে নিয়োজিত আছি। আমার মাঝি গিরির দরকার নাই, দশের উপকারের জন্য আমি এখানে সেতু নির্মাণের দাবি করছি।
স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক আক্ষেপ করে জানান একটি ব্রিজের জন্য কয়েক গ্রামের জীবন ও অর্থনীতির চাকা থেমে আছে। বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় বাঁশের সাঁকোয় চলাচল করতে হচ্ছে নদীর দু’পাড়ের কয়েক হাজার মানুষকে। জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের পাহাড় জমলেও হয়নি সেতু নির্মান।
উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি।মধুপুরের ওই অংশে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া আছে কিনা দেখতে হবে।