এসময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রেবেকা সুলতানা ডলি এর মোবাইল কোর্ট অভিযান চলাকালে জলেশ্বরীতলার ভ্রাম্যমান ফলের দোকানসহ অন্যান্য অবৈধ দোকান, ভ্যানগাড়িগুলোকে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া সাতমাথার সপ্তপদী মার্কেট মোড় সড়ক অবরোধ করে কয়েকটি মটর সাইকেল পাওয়া গেলে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে মামলা করার জন্য বলা হয়। সঙ্গীয় ফোর্স সহ সাতমাথা থেকে থানা মোড়, কালিতলার দিকে রাস্তার দুপাশে অবৈধ স্থাপনা এবং ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান, ইফতারের দোকান এবং ভ্যান রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টি করায় তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় আইন অমান্য করে সড়ক দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় ২টি পৃথক মামলায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ১০৮ (৭) ধারা ও ১০৯ ধারায় ১০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া রাজাবাজার "মুন্সি হলুদ ঘর" নামীয় মিল এ গবাদি পশু খাদ্য, ভুষি, পচা মরিচ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে মসলা তৈরি করা অবস্থায় পাওয়া যায়। মোবাইল কোর্ট অভিযান চলাকালে মালিক ভেতরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পরবতীতে বাজার কমিটির সভাপতির উপস্থিতিতে ভেতরে গিয়ে গো-খাদ্য ব্যবহার করে হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো তৈরি করছে অবস্থায় পাওয়া যায়। আনুমানিক ১০-১২ বস্তা গো- খাদ্য, পঁচা মরিচ, প্রভৃতি জব্দ করা হয় এবং স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, সভাপতির উপস্থিতিতে সিলগালা করে দেয়া হয়।
এসময় সহযোগিতায় ছিলেন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর বগুড়া পৌরসভা এবং জেলা পুলিশ ও এপিবিএন, বগুড়া এর সদস্যবৃন্দ। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।