পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির ৩ জেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময়ে পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও বান্দরবানে পর্যটক পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সম্প্রতি বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা ও শৈলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সপরিবার, বন্ধু-বান্ধব, দল-দল হয়ে বান্দরবান ভ্রমণে আসতে দেখা গেছে। তবে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট টুরিস্ট পুলিশ দেখা যায়নি।
কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা লোকমান বলেন সপরিবার নিয়ে বান্দরবানে ঘুরতে এসেছি। ‘পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সরকারি প্রশাসনের বিধিনিষেধ মানা উচিৎ। আমরা পর্যটকেরা এসে গেছি, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আছি। মনের আবেগে হয়ত চলে এসেছি কিন্তু আমাদেরও সচেতন থাকা দরকার।
১৮ জন বন্ধু নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান ভ্রমণে এসেছেন জাহিদুর ইসলাম। তিনি বলেন, বান্দরবান ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি জানেন না। চেকপোস্টে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখিয়ে এসেছেন। তখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবগত করেননি।
নীলাচল ও মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সুমি ত্রিপুরা ও সুকুমার তংচংগ্যা বলেন, সারা দিনে প্রায় চারশত টিকিট বিক্রি করেছি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে বিরত থাকবে বলা হয়েছে। তারপরও যদি পর্যটক ভ্রমণে এসেছে থাকে, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে আমাদের পুলিশ টিম পাঠাচ্ছি, যাতে পর্যটন কেন্দ্রে থাকা পর্যটকদের সসম্মানে ফিরিয়ে দিতে। একইসঙ্গে বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে যাতে বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে আসতে না পারে।’
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এক ক্ষুদে বার্তায় বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। সকল বাহিনী এ বিষয়ে অবহিত রয়েছে। বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে এসেছে এ বিষয়ে অবগত হলাম। এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।