বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রণয়,পরিণয়,পরিণতি
মনসুর আলম খোকন, সাঁথিয়া,পাবনা, প্রতিনিধিঃ স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা ওয়ালিস সিম্পসনের জন্য ব্রিটিশ সিংহাসন ত্যাগ করে অমর হয়ে আছেন রাজা অস্টম এডওয়ার্ড।ফ্রান্স সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট জোসেফাইন নামক এক বিধ্বার পাণিগ্রহণ করেছিলেন।আমেরিকার জনক জর্জ ওয়াশিংটনও এক বিধবা জমিদার মহিলার(মার্থা ড্যান্ড্রিজ কাস্টিস)পাণিগ্রহণ করেছিলেন।রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিসর জয় করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজেই বিধ্ববা রাণী ক্লিওপেট্রার রূপের জালে বন্দি হয়ে গেলেন।
গ্রীসের রাজা ম্যানিলাসের স্ত্রী হেলেনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়ে গিয়েছিল ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামের ছেলে যুবরাজ প্যারিস।এ নিয়ে ট্রয়বাসী ও গ্রীসদের ১২ বছরব্যাপী ভয়াবহ যুদ্ধ চলে।স্বর্গখ্যাত ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়ে যায়।ভারতের চিতোরের রাণা রতন সিং এর স্ত্রী পত্মাবতীকে পাবার জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি মেবার রাজ্য আক্রমন করেছিলেন।ওই আলাউদ্দিন খিলজি গুজরাট রাজ্য দখলের পর সেখানকার রাজা কর্ণদেবের সুন্দরী স্ত্রী রাণী কমলা দেবীকে বিয়ে করেন।রাজা কর্ণদেবের অতি সুন্দরী কন্যা দেবলা দেবীকে বিয়ে দেন তার পুত্র খিজির খানের সাথে।
খিজির খান মারা যাওয়ার পর দিল্লির আরও দুইজন সুলতান পর্যায়ক্রমে রাণী দেবলা দেবীর পাণিগ্রহণ করেছিলেন।এমনকি বৃদ্ধ আমীর খসরু কিছুদিনের জন্য দিল্লির মসনদের দায়িত্ব পেয়ে তিনিও দেবলা দেবীকে বিয়ে করেছিলেন।মোগল যুবরাজ সেলিম ও আনারকলির গভীর প্রণয় মোগল সাম্রাজ্যকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।সম্রাট আকবর তার ছেলে সেলিমকে এজন্য নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন।মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলার শাসনকর্তা আলী কুলি খান শের আফগানকে(যিনি অস্ত্র ছাড়াই বাঘ মারতে পারতেন) হত্যা করে তার স্ত্রী নূরজাহানকে বিয়ে করেন।বাংলা,বিহার,উড়িষ্যার নবাব আলীবর্দী খানের বড় কন্যা ঘষেটি বেগমের পরকীয়া ছিল বাংলার দেওয়ান হোসেন কুলি খানের সাথে যাকে আলীবর্দী খানের নির্দেশে হত্যা করেছিলেন তরুণ সিরাজদৌলা।
নবার সিরাজের প্রতি ঘষেটি বেগমের রাগের এও এক অন্যতম কারণ।ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের স্ত্রী লেডি এডুইনার সাথে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর পরোকীয়া সম্পর্ক ছিল।এদিকে আবার পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর শিক্ষিতা বোন বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের পরোকীয়া ছিল লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের সাথে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন ও মনিকার পরোকীয়া নব্বই দশকের খুব আলোচিত ঘটনা।বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হোসাইন মুহম্মদ এরশাদের সাথে জিনাত মোশাররফের প্রণয় এবং পরবর্তীতে বিদিশার সাথে প্রণয়,পরিণয়,বিচ্ছেদ বেশ আলোচিত ঘটনা ছিল।