কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পার্শ্ববর্তী পাবর্তীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের দলদলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠটি অনুপযোগী হওয়ায় খেলাধুলা করতে পারছে না বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় যুবকরা।
মাঠটি দ্রুত সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করতে সরকারের বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন এলাকার সংগঠন দলদলিয়া নাগরিক ফোরাম।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নটির একমাত্র খেলার মাঠ দলদলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ। মাঠটি নিচু এলাকায় হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো মাঠে পানি জমে যায়। ফলে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে যায়। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সরকারি বিদ্যালয়ের এই মাঠটি এলাকার প্রভাবশালীরা ধান ভুট্টা মাড়াই ও শুখানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। তার ফলে শিশু শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার যুবকরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না।
গত জুন মাসের ২৭ তারিখে মাঠটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন দেন সংগঠনটির পক্ষে মো. নুর আলম।
নূর আলম বলেন, মাঠটি খেলার অনুপযোগী না করলে এলাকার যুবসমাজ খেলা থেকে বিমুখ হয়ে মাদকসহ নানা অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত হবে। তাই সরকারের কাছে দাবি মাঠটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।
এলাকার যুবক মো. পাপ্পু বলেন, মাঠটি ভালো থাকলে আমরা সেখানে খেলাধুলা করি। কিন্তু মাঠটি সংস্কার না হওয়ায় সেখানে খেলাধুলা করা যেতো না। এতে দেখা গেছে আমাদের বন্ধুবান্ধবরা যারা খেলাধুলায় মেতে থাকতো আজ তারা মাদক সেবনসহ পথে ঘাটে আড্ডা দিচ্ছে। তাই আমরা গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে মাঠটি সংস্কার করছি। মাঠটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এলাকাবাসী শহিদুল ইসলাম ও প্রবীণ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ। আমরাও ছোট থেকে এই মাঠেই খেলাধুলা করে বড় হয়েছি। এই মাঠটি এলাকার একমাত্র খেলাধুলার উপযোগী মাঠ। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে মাঠটি দ্রুত সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলা হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বলেন, এই বিদ্যালয়টি পার্বতীপুর উপজেলার শেষ সীমানায় হওয়ায় এখানকার স্থানীয় জনগণ ঠিকমতো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাননা। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কটিও পাকা করা হয়নি। যার ফলে বর্ষাকালে অতিকষ্টে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন শিক্ষকসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠটি সংস্কারসহ বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কটি পাকাকরণ করা খুবই প্রয়োজন। মাঠটি সংস্কার করা হলে বিদ্যালয়ে কোমলমতি বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারবে পাশাপাশি এলাকাবাসীও নানান প্রকার গ্রামীণ খেলা করে থাকে এই মাঠটিতে। তাই সবমিলিয়ে মাঠটি সংস্কার অত্যান্তপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন বলেন, এলাকার একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। মাঠটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।