ছোটপর্দার একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। অভিনয় নিয়ে একটা সময় ব্যস্ততায় কাটালেও বর্তমানে নিজেকে অনেকটাই পর্দার জগৎ থেকে আড়ালে রাখছেন তিনি।
ব্যক্তিজীবনে নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই তারকাকে। সংসার জীবনে বিচ্ছেদের মুখ দেখেছেন। নিজের বাবাকে হারিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়েই কিছু কঠিন সময় পার করতে হয়েছে ফারিয়াকে।
এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ‘বিশেষ দলের’ সদস্যের জন্য নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অবিচারের কথা ভক্ত-অনুরাগীদের জানালেন।
পোস্ট করে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘কত ক্ষমতা, কত বড় বড় কথা একেকজনের। আমি আগের রাতেও বিভিন্ন জায়গায় শুনলাম , আমি দেবীর জন্য ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছি, পরদিন গেজেটে দেখি কোন এক বিশেষ দলের এক সদস্যের নাম।’
প্রকৃতি যখন বিচার করে তা দেখতে ভালো লাগে উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড না পেয়ে আমি মারা যাই নাই, কিন্তু প্রকৃতি যখন চোখের সামনে হয়ে যাওয়া ইনজাস্টিসের বিচার করে তা দেখতে ভালো লাগে।’
শেষে তিনি বলেন, ‘আশা করি এখন থেকে শুধু মাত্র যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়েই ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে, চাটুকরিতার জন্য না।’
এ পোস্টের কমেন্ট বক্সে আরাফাত লিখেছেন,‘শবনম ফারিয়াকে ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করিনা, তবে উনার ক্লিয়ার কাট কথা এবং মাঝে মাঝে উনার কিছু কাজ খুবই প্রশংসনীয়।
আবু জাফর হৃদয় নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আশা করি এখন থেকে শুধু মাত্র যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়েই ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে, চাটুকরিতার জন্য না।’
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।
সেই তালিকায় ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।