সুন্দরী প্রতিযোগিতার সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত তিন সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্স, মিস আর্থ, মিস ওয়ার্ল্ড—এর সবই মানুষকে কেন্দ্র করে। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এআই কনটেন্টনির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করেছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’।
আর এই প্রতিযোগিতায় ১০ জনের নাম ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে আছে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই লিখিত প্রম্পট থেকে ছবি তৈরি করা যায়। অনেকেই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ছবি তৈরি করেন। কৃত্রিমভাবে তৈরি এসব ছবিতে সুন্দরী নারীদের দেখা মেলে। এই নারীদের নিয়েই বিচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আয়োজকদের একজন ফ্যানভ্যুর সহপ্রতিষ্ঠাতা উইল মোনানাজ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে এইআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা এআই প্রযুক্তি খাতে অস্কারের সমমর্যাদা পাবে।’
প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০–এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। সম্প্রতি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই এআই সুন্দরীদের নির্বাচন করেছে বিশেষ বিচারক প্যানেল। বিচারকদের মধ্যে দুজন মানুষ এবং দুজন এআই ইনফ্লুয়েন্সার।
মূলত সুন্দরীদের তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হচ্ছে। সেগুলো হলো সৌন্দর্য, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক—ইত্যাদি দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে।
১০ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব। এলিজা খান একজন জেন–জি ফ্যাশনিস্তা, যে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব।
এ ছাড়া ফাইনালিস্টের তালিকায় আছে ভারতীয় এআই সুন্দরী জারা শতভরী, হিজাবি এআই ইনফ্লুয়েন্সার মরক্কোর প্রতিযোগী কেনজা লাইলি। অন্যান্য প্রতিযোগীদের নাম হলো সেরেন আয় (তুরস্ক), আইয়ানা রেইনবো (রোমানিয়া), আলিয়া লু (ব্রাজিল), অলিভিয়া সি (পর্তুগাল), অ্যান কার্দি (ফ্রান্স), লালিনা (ফ্রান্স), আসিনা ইলিক (তুরস্ক)।
চূড়ান্ত তিন বিজয়ীকে মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া মিস এআই পাচ্ছে পাঁচ হাজার ডলার, ফ্যানভ্যুতে প্রমোশনের সুযোগ এবং একজন পাবলিসিস্ট যিনি বিজয়ীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রিচ বাড়ানোর কাজ করবেন।