কাভিশা দিলহারি ছক্কা মারতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে শ্রীলঙ্কার ডাগআউট। ডাম্বুলার রনগিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লঙ্কান নারী ক্রিকেটারদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস যে শিরোপা জয়ের। বারবার ফাইনালে গিয়ে ফিরে আসার দুঃখ ভুলে এবার হাসল লঙ্কানরা। ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
নারী এশিয়া কাপ মানেই যেন ভারতের শিরোপা। প্রথম ৮ আসরের মধ্যে সাতবার শিরোপা জিতেছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। এবারও তারা নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। সিলেটে ২০২২ সালে সবশেষ আয়োজিত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতেছিল ভারত। ২ বছর পর ডাম্বুলায় এবার প্রতিশোধ নিল লঙ্কানরা। রনগিরি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও দেখা গেছে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। স্বাগতিক দর্শকদের এবার আর হতাশ হতে হয়নি।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে দলীয় ৭ রানেই ভেঙে যায় শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন ভিস্মি গুনারত্নে। ৩ বলে ১ রান করেন গুনারত্নে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও লঙ্কানরা ভড়কে যায়নি। আতাপাত্তু পাল্টা আক্রমণ করেছেন ভারতীয় বোলারদের ওপর। লঙ্কান অধিনায়কের তান্ডবে ভারতও ফিল্ডিংয়ে একের পর এক ভুল করতে থাকে।
টুর্নামেন্ট জুড়ে ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত হারমানপ্রীত কৌরের ভারতকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অচেনাই মনে হচ্ছিল।
৩৩ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১২ তম ফিফটি তুলে নেন আতাপাত্তু। তবে ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২তম ওভারের শেষ বলে দীপ্তি শর্মাকে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন আতাপাত্তু।
লঙ্কান অধিনায়ক ৪৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬১রান করেন। শিরোপা জিততে শেষ ৮ ওভারে ৭২ রান দরকার ছিল লঙ্কানদের। ভারতের দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে ওভারপ্রতি ৯ রান তুলনামূলক কঠিনই। তবে শ্রীলঙ্কা যে প্রতিজ্ঞা করেছে দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাবে। আতাপাত্তুর বিদায়ের পরও চলতে থাকে লঙ্কানদের তান্ডব।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে ভারত। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন স্মৃতি মান্ধানা। ৪৭ বলের ইনিংসে ১০ চার মেরেছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটার। আন্তর্জাতিক টি -টোয়েন্টিতে এটা মান্ধানার ২৬তম ফিফটি করা মান্ধানা। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন দিলহারি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আতাপাত্তু, উদেশিকা প্রবোধনি ও সাচিনি নিশানসালা।