মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদে প্রবেশের প্রধান
সড়কে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন উদ্যোগ নেই। শুষ্ক
মৌসুমেও এ সড়কে এখন হাঁটুপানি। এতে উপজেলা প্রশাসনে সেবা নিতে আসা লোকজন
সহ এ সড়কে চলাচলকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পানিতে ডুবে থাকা রাস্তায় রিক্সা-
ভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। উপজেলার
অন্যতম ব্যস্ত এ সড়কের প্রাণীসম্পদ অফিসের গেট থেকে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেট পর্যন্ত
সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে পানিতে ডুবে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই এমন অভিযোগ
স্থানীয়দের।
বিগত পতিত সরকারের সময় মোটা অংকের অর্থ ব্যয়ে পানি নিষ্কাসনের জন্য
উপজেলা পরিষদের পাশ দিয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ
ড্রেনটি কোন কাজে আসছে না। এ সড়কেই প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন
কর্মকর্তা, প্রশাসনের সেবা নিতে আসা লোকজন, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং মহাদেবপুর
গরুর হাট ও বাজারে আসা অসংখ্য মানুষ চলাচল করে। এছাড়া ঢাকা, বগুড়া ও নওগাঁ থেকে
আসা অনেক ভারী যানবাহন পাশ্ববর্তী পোরশা, নিয়ামতপুর উপজেলা এবং চাঁপাই নবাবগঞ্জ
জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য এ সড়কে চলাচল করে। এত
ব্যস্ততম এ সড়কটি দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও
স্কুল কলেজে যাতায়াতকারী ছাত্রছাত্রীরা। তারা বলেন, সব সময় হাঁটু পানিতে ডুবে থাকায় এ
রাস্তায় পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যায় না। রিক্সা-ভ্যান বা সাইকেল নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে
প্রায়ই খানা-খন্দে উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মহাদেবপুর হাটে আসা শিবরামপুর গ্রামের
গরু ব্যবসায়ী খোকা বলেন, ভুটভুটিতে করে গরু আনার সময় ওই স্থানে ভুটভুটি উল্টে বেশ
কয়েকটি আহত হয়েছে। এ সড়কে জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিকবার মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও
উন্নয়ন সভায় ব্যাপক আলোচনা হলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই।
এ ব্যাপারে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সড়কের
পানি নিষ্কাসনের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শিঘ্রই এ সড়ক জলাবদ্ধতামুক্ত হবে বলেও
জানান তিনি।# মো. আইনুল হোসেন