বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর উপজেলা স্বার্থরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিটি বাসস্ট্যান্ড শেরশাহ্ মার্কেটের সামনে মহাসড়কের ধারে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলার৩০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহণ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— মহাসড়কে ধুনট মোড় হতে কলেজ রোড পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ, শেরপুরকে জেলা ঘোষণা, শহরে গ্যাস সংযোগ, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণ, উপজেলা স্টেডিয়াম স্থাপন, পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি, করতোয়া নদী খনন, নদীর দুই পাশে সড়ক নির্মাণ, শিশুপার্ক তৈরি, ঝাঁজর, ফুলজোড় ও কল্যাণী এলাকায় বাঙালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, পৌর কিচেন মার্কেট চালু এবং শহরের পাশে রেলস্টেশন স্থাপন।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলা স্বার্থরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক,বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান। তিনি বলেন, “এই ১১ দফা দাবি শেরপুরবাসীর প্রাণের দাবি। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহাসড়কের সড়ক বিভাজকের কারণে শহরটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এবং অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়াশোনায় অনিয়মিত হয়ে পড়ছে।
এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শেরশাহ নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবদুস সালাম, উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুল হাই, ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এবং কাঁচা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম।
স্থানীয় শিক্ষকরা জানান, মহাসড়কের বিভাজকের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেন।