অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার না হলেও সঞ্চালনা, উপস্থাপনা ও রেডিও জকি হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন এই তারকা। দুই বাংলাতেই মীরের রয়েছে সমান ভক্তসংখ্যা।
সম্প্রতি ঈদে আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন মীর। যেখানে কথা বলেছেন ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন প্রসঙ্গে। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই মীর জানান, লোকে নাকি বলে তাকে ঠিক ‘মুসলমান’ মনে হয় না।
এই অভিনেতার কথায়, ‘ধর্ম মানেই মন্দিরে গিয়েই পুজা করতে হবে বা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে হবে, এমনটা আমি মানি না। আমি প্রকৃতির মাঝে গিয়েও মানসিকভাবে অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারি। মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের পিছনে বসে যখন নমাজ পড়ি, সেই সময় মুখে কোরআন থেকে কী বলছি, তার চেয়ে বেশি জরুরি মনে হয় এত ভাইয়েরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিজদাহ করছেন। এই দৃশ্যটাই আমার খুব ভালো লাগে।’
মীর বলেন, অনেকে বলেন, আমাকে নাকি ঠিক ‘মুসলমান-মুসলমান’ মনে হয় না। অভিনেতার মুখে এটা শুনে আনন্দবাজারের প্রশ্ন ছিল, সেটা আবার কী?
জবাবে মীর আফসার আলী বলেন, ‘সে রকম ভাবে আমি নামাজ পড়ি না। নিয়মিত মসজিদে যাই না। আমার মনে আছে একটা ঘটনা। আমাদের বাড়িতে ডোকরার দুর্গাপ্রতিমা আছে, সেটা কোনো কারণে ভিডিওর মাধ্যমে অনুরাগীদের নজরে পড়ে যায়। ব্যস, ট্রোলিং-সমালোচনা শুরু। মুসলমানের বাড়িতে দুর্গাপ্রতিমা কেন থাকবে? সেই প্রশ্ন ছুঁড়তে শুরু করেন সকলে।’
মীর এসবকে খুব একটা পাত্তা দেন না। তিনি বলেন, ‘মানুষ সব ক্ষেত্রেই কথা বলবে। এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যেই শান্তি। এসব দেখা এখন ছেড়ে দিয়েছি।’
আর কী ছাড়লেন? জবাবে মীর বলেন, ‘রেডিওতে পরিবর্তন। কোথাও মনে হচ্ছিল, একই পঞ্জাবি গান ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বাজছে। বাংলা গান বাজবে না। ভিডিও আর রিল করতে করতেও আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। বিষয়টা এমন নয় যে, আমি নতুন কিছুকে গ্রহণ করতে চাই না। আমি সারাক্ষণ নতুন কিছুকেই গ্রহণ করে চলেছি। বাড়িতে একুশ বছরের মেয়ে আছে। সে বলে দেয়, কী করব, কী করব না। কিন্তু ভাবনার দিক থেকেই সমস্যা। যারা গানবাজনা করেন তারা বলেন, রেডিও গান বাজাতে চাইছে না। আর যারা রেডিওর দেখভালের দায়িত্বে, তারা বলেন- তেমন গানই তৈরি হচ্ছে না। এসবের মধ্যে আমার নিজস্ব মান-অভিমান তৈরি হল। খারাপ লাগল। ছেড়ে দিলাম।’