বিনোদন ডেস্কঃ- মাসে ৭৫ হাজার কোটি টাকার মদ, তারপরও আমার দেশ গরিব,‘নেটদুনিয়ায় সবার জন্য সব কিছু খোলা থাকায় দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি নেমে এসেছে। নীল ছবি বেশি দেখার তালিকায় পৃথিবীর ২০৬টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে আমার দেশ’। দেশের সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ কথা বলেছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী খান আসিফুর রহমান আগুন।
তিনি বলেন, ‘মাসে ৭৫ হাজার কোটি টাকার মদ, দেড় হাজার কোটি টাকার সিগারেটে ব্যয় করে এ দেশের মানুষ। এরপরও অনেকে বড় মুখ করে বলেন – আমার দেশ গরিব। এদেশে এমন লোকও আছে যারা ব্র্যান্ড ছাড়া পোশাক কিনেন না। ব্র্যান্ডের পোশাক কেনার পর আবার ঢাকঢোল পিটিয়ে সে কথা জানান সবাইকে। আমার এসব আচরণ একদমই অপছন্দ। আমি মনে করি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালো না।’
আগুন আরও বলেন, কিছু মানুষের জন্য সমাজে আরও অনেক অসঙ্গতি দেখা যায়। এক স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের সবকিছু আজ হাতের মুঠোয়। এটা ভালো দিক। কিন্তু একজন রুচিশীল, শিক্ষিত ওই স্মার্টফোন দিয়ে যা দেখতে বা জানতে চাইবে একজন রুচিহীন বা অশিক্ষিত কেউ কিন্তু তা দেখতে বা জানতে চাইবে না। তারা অশৈল্পিক জিনিসের প্রতিই বেশি ঝুঁকবে। তাই সবার কাছে সব টেকনোলজি খুলে রাখা উচিত নয় বলে আমি মনে করি।
অনেকটা আফসোস করে আগুন জানান, চলচ্চিত্রে এখন ১৮ প্লাস ক্যাটাগরির সিনেমা মানেও অসঙ্গতি। দেশে শিশুদের ‘আদর্শ লিপি’ বই আর পড়ার চল নেই। তাহলে আদর্শ মানুষ কীভাবে তৈরি হবে?
মিডিয়াতেও উদ্ধত মানুষের অভাব নেই বলে মনে করেন আগুন। তিনি বলেন, এক, দুইটা কাজ হিট হলেই সে ভাব নিয়ে চলতে শুরু করে। মোবাইলে ভারতের শাহরুখ খানের সিনেমা দেখে আর প্রেক্ষাগৃহে তার সিনেমা রিলিজ আটকায়। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সিনেমা আটকাতে চাওয়ার কারণই হলো দেশের নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা যে কিছু পারে না, সে গোমর ফাঁস হওয়ার ভয়। এ দোষ তাদের দিয়েও লাভ নেই। সর্বক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় তাদের নামার একটাই কারণ আমি মনে করি। আর তাহলো মুক্ত আকাশ দেখার সৌভাগ্য কখনও হয়নি এদের; আর কখনো হবেও না।
প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান ও সংগীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন দম্পতির একমাত্র ছেলে তিনি। কণ্ঠশিল্পী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন ভালো অভিনেতাও। নিজের পরিবার, ক্যারিয়ার ও অর্থ সম্পত্তি নিয়ে কখনও তাকে অহংকার করতে দেখা যায়নি।