মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:- যশোরর শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আসানুর রহমানের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও টাকা না দেয়ায় অপহরণ করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই করে নেয়ার অভিযোগে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার১২নভেম্বর আসানুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত আলী অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াছিন আলীর দু’ছেলে ইউনুস আলী ও মারোয়ান, আজিবার রহমানের ছেলে বাশিউর রহমান বাশি, বাশিউর রহমানের জামাই আব্দুর রহমান, হারেজ মোড়লের ছেলে মোস্তফা, মোস্তফার ছেলে হাবিবুর রহমান, কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল আলিম,আব্দুল আলিমের ছেলে নুর হোসেন, রামপুর গ্রামের দাউদ গোলদারের দু’ছেলে লাল্টু হোসেন ও মিন্টু হোসেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতেন। দেশে এসে নিজ এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন। তার এই ব্যবসার দিকে নজর পড়ে আসামিদের। ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। এরমধ্যে
গত ১৯ অক্টোবর বাদী শার্শা বাজার মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা চাঁদার টাকা দাবি করে। না দেয়ায় মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার পালসার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। ওই রাতেই আসানুর থানায় অভিযোগ দিয়ে বের হলে তাকে অপহরণ করে রামপুর বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিবারকে খবর দেয়া হলে আসানুরের স্ত্রী শারমীন, ভাই হাসানুরসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তিনটি ১০০ টাকার ননজুডিসিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে আসানুর ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। একইসাথে আসানুরের কাছে থাকা নগদ ৪১ হাজার টাকা ও পালসার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। ওইসময় চাঁদার টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলে আসামিরা। অন্যথায় হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এসব কারণে বাদী বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।