1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
যশোর আদালতে একজনের পরিবর্তে অন্যজনের সাক্ষ্য একজনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ » Daily Bogra Times
Logo শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতিতে অসন্তুষ্ট ঢাকা দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে চাই : ড. ইউনূস রংপুরে ৪৫ টাকা দামে আলু বিক্রি শুরু বিদেশি হস্তক্ষেপে বিগত সরকার ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিলো: আসিফ নজরুল সৌদি আরবে ‘ফ্যাশন শো’ মাতাচ্ছে হলিউড তারকারা! ভারতীয় বংশোদ্ভূত তুলসী হতে যাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান? অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা পাবেন ফ্রি চিকিৎসা ও ইউনিক আইডি কার্ড বগুড়ায় মেয়েকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার এক কর্মস্থলে ৩ বছর পরই বদলী, পরিপত্র জারি আবারো ‘লাল গোলাপ’ নিয়ে ফিরছেন শফিক রেহমান পত্নীতলায় আরাফাত রফমান কোকো স্মৃতি আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের  উদ্ভোধন হিলিতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা জয়পুরহাটে রিক্সা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার লালমনিরহাটে শহীদ মিরাজের মরদেহ ৩ মাস পর উত্তোলন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আবদুল্লাহ এর বাড়িতে নৌ-পরিবহন উপদেস্টা

যশোর আদালতে একজনের পরিবর্তে অন্যজনের সাক্ষ্য একজনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ

মনির হোসেন, যশোর প্রতিনিধিঃ
  • মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
যশোর আদালতে একজনের পরিবর্তে অন্যজনের সাক্ষ্য একজনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ
print news

মনির হোসেন,বেনাপোলপ্রতিনিধি:-মারামারির মামলায় একজনের পরিবর্তে অন্যজন সাক্ষী দেয়ায় মনিরুজ্জামান নামে এক যুবক আটক হয়েছেন। সোমবার (৪নভেম্বর)  অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কার সোহেল রানা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে আটকের আদেশ দেন। মনিরুজ্জামান বেনাপোল পোট থানার পুটখালী গ্রামের কাদের আলী সরদারের ছেলে।

পরর্তীতে আটক মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অতিরিক্তি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মোজাফ্ফর হোসেন বাদী হয়ে সদর আমলী আদালতে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, পুটখালী গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রীর সেলিনা বেগম একটি মারামারি মামলার বাদী। সোমবার ছিল এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। এদিন সেলিনা বাড়ি থেকে যশোর আদালতে আসার সময় তার জামাতা মনিরুজ্জামানকে সাথে নিয়ে আসেন।

মামলার বাদী সেলিনা বেগম অতিরিক্তি দায়রা জজ আদালতের এপিপি মাহাবুবুর রহমানের কাছে হাজিরা দেন। হাজিরা মতে মামলার বাদী সেলিনা বেগমকে সাক্ষী দেয়ার জন্য ডাকা হয়। বাদী সেলিনা বেগম সাক্ষী দেয়ার আগে আসামিদের সাথে মিমাংসা হয়ে গেছে বলে আর মামলা চালাতে ইচ্ছুক নন জানিয়ে বিচারকের কাছে মৌখিকভাবে আবেদন করেন। বিচারক মামলার বাদী সেলিনা বেগমের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আরও একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিবেন বলে জানান।

সেলিনা বেগম এপিপি মাহাবুবুর রহমানকে সাক্ষী উপস্থিত আছে বলে জানান। এপিপি মাহাবুবুর রহমান তখন চার্জশিটের তালিকাভুক্ত সাক্ষী জাকিরের হাজিরা জমা দেন আদালতে। ডাকমতে এজলাসে আসেন বাদীর জামাতা মনিরুজ্জামান। শপথ নিয়ে জাকিরের নামে মনিরুজ্জামান সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রেকর্ড করা সাক্ষীর বক্তব্যে অমিল পাওয়ায় বিচারকের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে বিচারক সাক্ষী ফিরোজের মোবাইল নম্বর জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় মনিরুজ্জামানের দেয়া মোবাইল নম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তার জবনবন্দির মোবাইল নম্বরের সাথে মিল না পেয়ে সন্দেহ আরও বেড়ে যায় বিচারকের। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামান শিকার করেন তিনি ফিরোজের বদলী সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। এ সময় বিচারক এজলাসে উপস্থিত পুলিশকে নির্দেশ দেন মনিরুজ্জামানকে আটকের। এ ঘটনায় সদর আমলী আদালতে মামলা করেন পেশকার মোজাফ্ফর হোসেন। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে আটক আসামি মনিরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘মামলার বাদী সেলিনা বেগম একাই সাক্ষী দিবেন বলে হাজিরা দিয়েছিলেন। বাদীর মৌখিক আবেদনে মামলাটি মিমাংসা হয়ে গেছে বলে বিচারক আর একজন সাক্ষীর বক্তব্য নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় বাদী সেলিনা জানান সাক্ষী উপস্থিত আছে। তখন আমি চার্জশিটে উল্লেখিত সাক্ষী ফিরোজের হাজিরা জমা দি। সাক্ষ্য দেয়ার সময় বিচারক ভুয়া সাক্ষী বুঝতে পেরে তাকে আটকের নির্দেশ দিয়েছিলেন’।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews